সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাস ডেস্ক: আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসার পর নানা বিষয় নিষিদ্ধ করে অনেক দিনই ত্রাস সৃষ্টি করেছে তালিবান প্রশাসন। এবার তাদের নজর পড়েছে নেকটাইয়ের উপর। গলায় টাই পরা ইসলাম বিরোধী, কারণ এটি যিশুখ্রিস্টের প্রতি আনুগত্যের প্রতীক, এমনটাই মনে করছে তালিবান প্রশাসন।
তালিবান প্রশাসনের ইনভিটেশন অ্যান্ড গাইডেন্স ডিরেক্টরটের প্রধান হাশিম সইদ রোড় মুসলমান হয়ে গলায় টাই পরার তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “আমি প্রায়ই কাজের সূত্রে হাসপাতাল এবং অন্যান্য আরও নানা গুরুত্বপূর্ণ অফিসে যাই। প্রায়ই দেখি আফগান ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার এবং সমমর্যাদার মানুষ গলায় টাই পরেছেন। টাই আসলে ক্রুশ। শরিয়ত বলছে ক্রুশ দেখলেই ভেঙে ফেলতে হবে। কিন্তু এই ব্যাপারটা একেবারেই ইসলামবিরুদ্ধ। তাই একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিমের টাই কখনওই পরা উচিত নয়।”
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনে রাশিয়ার যম! চিনকে চিন্তায় ফেলে সেই মার্কিন হাতিয়ারই এবার তাইওয়ানের হাতে]
হাশিম আরও খানিকটা ব্যাখ্যা করে বলেন যে, টাই আসলে যিশুর ক্রসের আকারে তৈরি, তাই এটি গলায় পরে খ্রিস্টের প্রতিই আনুগত্য দেখানো হয় খ্রিস্টান ধর্মে। সাম্প্রতিক অতীতে দেশের মহিলাদের স্কুল যাওয়া বন্ধ করা, বাধ্যতামূলক বোরখা পরা ইত্যাদি বেশ কিছু বিধিনিষেধ চালু করেছে তালিবান প্রশাসন। এবার পুরুষদের টাই পরাও নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে হাশিমের কথার প্রেক্ষিতে।
উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার পর মহিলাদের অধিকার নিয়ে হাজারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তালিবান ২.০ (Taliban)। যদিও কার্যক্ষেত্রে যাবতীয় প্রতিশ্রুতি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। প্রথমে মেয়েদের স্কুল যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তার পর ধীরে ধীরে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই বিষয়ে ফরমান জারি করেছিল তালিবান সরকারের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রক। এবার রেস্টুরেন্টে ঢোকার ক্ষেত্রেও মানা করা হয়েছে মেয়েদের। এমনকী, পার্ক, থিম পার্কেও মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ।