সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আপনি কি নিয়মিত সুইগিতে খাবার অর্ডার করেন? এবার তাহলে অতিরিক্ত গ্যাঁটের কড়ি খরচ হবে। কারণ, অর্ডার করলেই গুনতে হবে বাড়তি টাকা। এবার থেকে কত টাকা খরচ বাড়বে?
এতদিন খাবার অর্ডার করলে প্রতি অর্ডারে প্ল্যাটফর্ম ফি বাবদ ১২ টাকা গুনতে হত। এবার দু'টাকা বেড়ে সেই অঙ্কটা হবে ১৪ টাকা। সামনেই দুর্গাপুজো, দিওয়ালি, ছট পুজো থেকে ক্রিসমাস। একটানা উৎসবের মরশুম। এবার এই ফেস্টিভ সিজনকেই পাখির চোখ করে অতিরিক্ত লাভের জন্য মাঠে নামছে সুইগি।
এই মুহূর্তে প্রতিদিন প্রায় ২০ লক্ষেরও বেশি ফুড অর্ডার সাপ্লাই করে সুইগি। নিয়মিত ভাবেই তারা প্ল্যাটফর্ম ফি বাড়িয়ে চলেছে। ২০২৩ সালের এপ্রিলে প্ল্য়াটফর্ম ফি ২টাকা ছিল। গতবছর জুলাইতে সেই অঙ্কটা থেকে বাড়িয়ে ৬টাকা করেছিল সুইগি কর্তৃপক্ষ, এবং মাস খানেকের মধ্যেই সেই অঙ্কটা হয়ে যায় ১০ টাকা। আর এখন সুইগিতে অর্ডার করে পেটপুজো করতে গুনতে হবে ১৪টাকা। মাত্র ২বছরের মধ্যে এই প্ল্যাটফর্ম ফির অঙ্কটা ৬০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও এই বর্ধিত ফি নিয়ে কোনওরকম প্রতিক্রিয়া দেয়নি সুইগি কর্তৃপক্ষ।
এর আগেও জোম্যাটো কিংবা সুইগির মতো ফুড প্ল্যাটফর্মগুলি প্ল্যাটফর্ম ফি বাড়িয়েছে। বিশেষ করে যে কোনও উৎসবের মরশুমে। যখন কর্তৃপক্ষ দেখেছে এই বর্ধিত ফির পরও অর্ডারের সংখ্যা আশানুরূপ রয়েছে। তখন তাঁরা সেই ফি কমানোর কথা একবার ভাবেওনি। শুধু সুইগি কেন! জোম্যাটোও গত দু'বছরে পাঁচ দফায় প্রায় ৪০০ শতাংশ ফি বাড়িয়েছে। এই ফুড অ্য়াপ্লিকেশন গুলির খামখেয়ালিপনার জন্য তাঁদের কমিশন রেট প্রায় ৩৫শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে খাবারের দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে রেস্তরাঁগুলি। পরিসংখ্যান বলছে, ফুড অ্যাপের বদলে রেস্তরাঁয় বসে খেলে ৫০ শতাংশ খরচ কম পড়ে। যদিও শহুরে মানুষ এতকিছু ভাবতে নারাজ। রোদে ঘেমে, জলে ভিজে কে আর রেস্তরাঁয় ভিড় করে! তার চেয়ে অর্ডার করে নিলেই তো দিব্যি হয়। আর তার তার জন্য় যদি প্রায় একটু বেশি খরচ করতে হয়! হোক না, ক্ষতি কী!
