সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি (BJP) বিরোধী যে জোটের সলতে পাকানো শুরু করেছিলেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই জোট প্রক্রিয়া এবার গতি পাওয়া শুরু করল। মমতার প্রস্তাবিত জোটের সম্ভাবনা আরও উসকে গেল রবিবার তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) বৈঠকে।
রবিবার বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী শিবিরকে একজোট করার লক্ষ্যে মহারাষ্ট্রে গিয়েছেন কেসিআর। প্রথমে তিনি সাক্ষাৎ করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা শিব সেনা (Shiv Sena) সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে। তাঁর পরের বৈঠক এনসিপি (NCP) সুপ্রিমো শরদ পওয়ারের সঙ্গে। এদিন উদ্ধবের বাংলো ‘বর্ষা’য় গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন কেসিআর। বৈঠকে ছিলেন শিব সেনার মুখপাত্র তথা দলের অন্যতম শীর্ষনেতা সঞ্জয় রাউতও। উপস্থিত ছিলেন উদ্ধব ঠাকরের ছোট ছেলে তেজাস ঠাকরে এবং অভিনেতা প্রকাশ রাজও। এদিন কেসিআরের সফরের আগে থেকেই মুম্বইয়ের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি বিরোধী ব্যানার-পোস্টারও দেখা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত সাধন পাণ্ডের পরিবারকে সমবেদনা রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর, মন্ত্রীর স্মৃতিচারণায় কুণাল-দিলীপ]
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, কেসিআরের এই মুম্বই সফরের মূল উদ্দেশ্য ২০২৪ লোকসভার আগে অবিজেপি এবং অ-কংগ্রেসি জোট গঠন করা। কেসিআরের দপ্তরের তরফে দাবি করা হয়েছে, বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর এই লড়াইয়ে শিব সেনা তাঁর সঙ্গেই আছে। এমনকী গত সপ্তাহে রাওয়ের সঙ্গে নাকি ফোনেও উদ্ধবের কথা হয়েছে। কেসিআরের দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, বিজেপির মতো বিভেদকামী শক্তিকে রুখতে রাওকে পূর্ণ সমর্থনের কথা জানিয়েছেন উদ্ধব।
[আরও পড়ুন: শীর্ষনেতাদের সঙ্গে নানা সময়ে বিবাদ সত্ত্বেও বরাবরের স্পষ্টবক্তা সাধন কখনও বিধানসভায় হারেননি]
উদ্ধব এবং কেসিআরের এই সাক্ষাতের পর নয়া প্রশ্ন ঘুরছে রাজনৈতিক মহল। কেসিআর ঘোষিত তৃতীয় ফ্রন্ট পন্থী। বিজেপির মতো কংগ্রেসের থেকেও সমান দূরত্ব বজায় রাখার পক্ষে তিনি। আবার শিব সেনা কংগ্রেসের (Congress) জোটসঙ্গী। তাঁরা কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়েই জোট করার পক্ষে। সেক্ষেত্রে এই দুই দলের মধ্যে কোনও সমীকরণ আদৌ তৈরি হওয়া সম্ভব কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের একত্রিত করে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ইতিমধ্যেই বিজেপি-বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীরা তাতে সাড়া দিয়েছেন। কেসিআর-উদ্ধব বৈঠক মমতার সেই লক্ষ্যের দিকেই বিরোধীদের এগিয়ে দিল বলে মনে করা হচ্ছে।