shono
Advertisement

শহুরে কোলাহলের বাইরে কাটাতে চান পুজো? গন্তব্য হোক তুরিয়ক মামরিং

পর্যটকদের নয়া ডেস্টিনেশন হোম-স্টে গ্রাম। The post শহুরে কোলাহলের বাইরে কাটাতে চান পুজো? গন্তব্য হোক তুরিয়ক মামরিং appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 02:36 PM Oct 11, 2018Updated: 02:36 PM Oct 11, 2018

সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: পুজোর প্রাক্কালে ট্যুরিস্টদের হোম-স্টে গ্রাম উপহার দিতে চলেছে কার্শিয়াং। স্থানীয় ছোট্ট গ্রাম ‘তুরিয়ক মামরিং’, সেটিই হোম-স্টে গ্রাম হিসেবে যাত্রা শুরু করছে। গ্রামের পাঁচটি বাড়ি নিয়ে হচ্ছে হোম-স্টে। পাঁচটি বাড়ি নিয়ে বুধবার তাঁদের হাত ধরেই পথ চলা শুরু করলো ‘তুরিয়ক মামরিং’। এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন ৯১ বছরের বৃদ্ধা জুম্পিন লেপচা। তিনি ওই গ্রামেরই বাসিন্দা।

Advertisement

কী আছে এই ছোট্ট জনপদে?

অন্যতম উদ্যোগী রাজবাবু জানালেন, এখানে মূল আকর্ষণ হল অনাড়ম্বর জীবনযাপন। মৌমাছি পালন, ভেষজ চাষ ও ছোট্ট একটি বৌদ্ধ মন্দির। এছাড়া আর কিছুই নেই। আর এই না থাকাটাই এখানে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে। এখানে পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে প্রচুর ভেষজ ঔষধি চাষ হয। যা থেকে গ্রামের মানুষ নিজেরাই নিজেদের ওষুধ প্রস্তুত করে নেন। তাই জুম্পিনদেবীর মতো না হলেও অনেকেই সুস্থ জীবন যাপন করেন। শিলিগুড়ি থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরত্বে কার্শিয়াং মহকুমার সিটং দুই ব্লকে ‘তুরিয়ক মামরিং’ গ্রাম। স্থানীয় উদ্যোগপতিরা এই ছোট্ট গ্রামটিকে আগামী পাঁচ বছরে অন্যতম হোম-স্টে হিসেবে তুলে ধরার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন।

[আপনি কি অরণ্যপ্রেমী? পুজোর ছুটিতে গন্তব্য হোক এই অভয়ারণ্য]

উল্লেখ্য, ‘তুরিয়ক মামরিং’ শহুরে জনজীবন থেকে অনেক দূরের এক পাহাড়ি গ্রাম। যেখানে দূষণের লেশ মাত্র নেই। এমন স্নিগ্ধ পরিবেশে বসবাস করার কারণেই বৃদ্ধা জুম্পিন লেপচাকে কখনও চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হয়নি। শহর ছেড়ে যাঁরা দু’দণ্ড শান্তির খোঁজে পাহাড়ে আসেন ও মানসিক অবসাদ দূর করে ঝকঝকে হয়ে ফিরতে চান, তাঁদের জন্য এই ‘তুরিয়ক মামরিং’ আদর্শ হতে পারে। পুজোয় যদি এমন কোনও আউটিংয়ের পরিকল্পনা করেই থাকেন তাহলে আর দেরি না করে চটপট ব্যগপত্তর গুছিয়ে ফেলুন। তারপর শুভ দিনে দুগ্গা দুগ্গা বলে সোজা ‘তুরিয়ক মামরিং’-এর উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ুন।

[পুজোয় প্রকৃতির মাঝে অষ্টমীর অঞ্জলি দিতে চান? চলে আসুন গড়পঞ্চকোট]

হোম-স্টে গ্রাম হিসেবে ‘তুরিয়ক মামরিং’ খুব শিগগির জনপ্রিয়তা পাবে। এ বিষয়ে আশাবাদী পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও। তিনি এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। একইসঙ্গে  আরও বেশি করে পর্যটনকেন্দ্র তৈরিতে উৎসাহও দিয়েছেন। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, সরকারি তরফে কোনও সাহায্যের প্রয়োজন হলে তিনি তা করতে প্রস্তুত। এই হোম-স্টে গ্রামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন তিস্তা রঙ্গিত ইকো সাসটেনেবল সোসাইটির সভাপতি এমকে প্রধান, সম্পাদক এনবি খাওয়াস। এছাড়াও ছিলেন  হেল্প ট্যুরিজমের কর্ণধার রাজ বসু-সহ অন্যান্য উদ্যোগপতিরা।

[হিন্দি ছবিতে দেখা এসব গ্রামে পাড়ি জমানোর কথা ভেবেছেন?]

The post শহুরে কোলাহলের বাইরে কাটাতে চান পুজো? গন্তব্য হোক তুরিয়ক মামরিং appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement