সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: আদিবাসীদের ‘পরিযায়ী’ বলে রাজ্য বিধানসভায় মন্তব্য করেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। যদিও তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে বলেই দাবি করেন মন্ত্রী। তবে তা সত্ত্বেও ক্ষোভে ফুঁসছেন আদিবাসী সামাজিক সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের সদস্যরা। শনিবার সকাল থেকেই ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে বনধের পরিবেশ। বন্ধ দোকানপাট। অবরুদ্ধ রাজ্য এবং জাতীয় সড়ক। বন্ধ রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি বাস পরিষেবাও।
শনিবার সকাল থেকেই ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে বনধের পরিবেশ। ঝাড়গ্রাম আদালত চত্বর, জুবলি মার্কেটে বন্ধ দোকানপাট। অবরুদ্ধ রাজ্য এবং জাতীয় সড়ক। কলকাতা-মুম্বই ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের গজাশিমূলের কাছে পথ অবরোধ হয়। বিনপুর ১ নম্বর ব্লকের দহিজুড়ি মোড়ও অবরোধ করা হয়। তার ফলে বন্ধ সরকারি ও বেসরকারি বাস পরিষেবাও। ভোগান্তির শিকার নিত্যযাত্রীরা।
[আরও পড়ুন: বাইক রেখে দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপ, নিখোঁজ শিয়ালদহ আদালতের আইনজীবী]
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করার দাবি জানিয়েছেন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের নেতা ডানগা হাঁসদা। তাঁর হুঁশিয়ারি, “ক্ষমা না চাইলে বনধ অনির্দিষ্টকাল ধরে চলবে।” উল্লেখ্য, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাবের আলোচনায় আদিবাসীদের ‘পরিযায়ী’ এবং গোর্খাদের ‘বহিরাগত’ বলেই দাবি করেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তার প্রতিবাদ করেন কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। তিনি বলেন, “মন্ত্রী ইতিহাসের অপলাপ করছেন।” মন্ত্রীর ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলও।