সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোনার চামক মুখে নিয়ে জন্মেছেন এলন মাস্ক। জীবনে সেভাবে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়নি তাঁকে। টুইটার সিইওকে নিয়ে এমন নানা তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে সম্প্রতি। যা নিয়ে এবার মুখ খুললেন মাস্ক। জানিয়ে দিলেন, তাঁর বাবার কোনওদিনই কোনও পান্নার খনি ছিল না। সেই সঙ্গে নিজের ছোটবেলার নানা খারাপ দিনের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকায় নাকি পান্নার খনি রয়েছে ধনকুবের মাস্কের (Elon Musk) বাবার। কিন্তু মাস্ক টুইট করে দাবি করেছেন, এমন কোনও খনির বিষয়ে তাঁর জানা নেই। এমনকী তিনি বহুকাল বিশ্বাস করতেন যে জাম্বিয়ায় একটি পান্নার খনির শেয়ার রয়েছে তাঁর বাবার। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন, এমন কোনও খনির অস্তিত্বই নেই। সোশ্যাল দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়া নানা ভুয়ো খবরে মর্মাহত মাস্ক। তাই আবেগপ্রবণ হয়ে নিজের স্মৃতির ঝুলে খুলে দিয়েছেন তিনি। বলে দেন, সকলে যা ভাবেন, তাঁর ছোটবেলা একেবারেই তেমন মসৃণ এবং সুখকর ছিল না।
[আরও পড়ুন: সাহিত্য জগতে নক্ষত্রপতন, প্রয়াত সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার]
তিনি জানান, জীবনে কখনওই খুব দামী উপহার পাননি তিনি। শুধু তাই নয়, স্কুলের পড়াশোনা শেষ হওয়ার পরই বাবা আর হাত খরচ দিতেন না। মাস্ক টুইটারে লেখেন, “খুব সাদামাটা ভাবেই বড় হয়েছি। মধ্যবিত্তের মতোই ছিল পরিবারের আয়। তবে ছোটবেলাটা তেমন আনন্দেরও ছিল না। এক কামরার ফ্ল্য়াটে মেঝেতেও ঘুমাতে হয়েছে বহুদিন। কারও থেকে কোনও দামী উপহারও নিইনি।” মাস্ক এও জানান, তাঁর বাবার একটি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ছিল। ২০-৩০ বছর তা ভালই চলেছিল, তবে তারপর জোর ধাক্কা খায় ব্যবসা। দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলেন মাস্কের বাবা। একটা সময় তাঁর ও তাঁর ভাইয়ের উপার্জনেই, সংসার চালাতেন বাবা।
তবে বাবার প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ। কারণ তাঁর থেকে কাজ শিখেই নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছিলেন মাস্ক। তারপর ধীরে ধীরে পরিশ্রম আর একাগ্রতার মধ্যে দিয়ে আজ এই উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। নিজের কঠিন দিনের কথা তুলে ধরে এভাবেই ট্রোলারদের জবাব দিয়েছেন টুইটার সিইও।