সুবীর দাস, কল্যাণী: শুক্রবার চাকদহ থানা এলাকায় জোড়া আত্মহত্যা! চাকদহ ও শিমুরালিতে উদ্ধার বৃদ্ধ ও এক প্রৌঢ়ের দেহ। শিমুরালি রেল স্টেশনের লাইন থেকে উদ্ধার বছর পয়ষট্টির কার্তিক মল্লিকের ক্ষতবিক্ষত দেহ। তিনি চাকদহ থানার অন্তর্গত শিমুরালি তেলিপুকুর পাড়া এলাকার বাসিন্দা। প্রৌঢ় আত্মহত্যা করেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, চাকদহ থানার অন্তর্গত সান্যালচর বাবলাতলা মাঠের একটি গাছ থেকে এক প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম রাজু মণ্ডল। দু'টি ক্ষেত্রেই পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পৃথক ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দুই এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে শিমুলারি স্টেশনে আপ হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস ঢোকার সময় রেল লাইনে মরণঝাঁপ দেন কার্তিক। তিনি পিঁপড়ের দিন সংগ্রহ করে তা বিক্রির পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সংসারে অনটন ছিল। স্থানীয়দের অনুমান পারিবারিক অশান্তির কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রেল পুলিশের আধিকারিকরা। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাটে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, সান্যালচর বাবলাতলা মাঠের গাছে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় চাকদহ চাদুরিয়া ব্রহ্মপাড়ার বাসিন্দা রাজু মণ্ডলের। খবর দেওয়া হয় চাকদহ থানায়। পুলিশ এসে গাছ থেকে ঝুলন্ত দেহটি উদ্ধার করে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। তারপর দেহের ময়নাতদন্তের জন্য কল্যাণী জহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত রাজুর এক সময় বাড়ি ছিল কালিপুরে। চালের ব্যবসা করতেন। শিমুরালি অটোস্ট্যান্ডের পাশে তাঁর দোকান ছিল। বর্তমানে চাঁদুরিয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন ব্রহ্মপাড়ায় থাকতেন। প্রশ্ন উঠছে অন্য এলাকা থেকে তার দেহ সান্যালচর মাঠে এল কী করে? তিনি আত্মহত্যা করতে এত দূরে প্রৌঢ় আত্মহত্যা করেছেন না কি, তাঁকে খুন করা হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চাকদহ থানার পুলিশ।