বাবুল হক, মালদহ: চলতি বছরের শুরুর দিকে শোনা যায় ডিয়ার লটারির প্রথম পুরস্কার হিসাবে ১ কোটি টাকা পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। সম্প্রতি ডিয়ার সাপ্তাহিক লটারি কেটে কোটিপতি হয়েছেন কলকাতার জোড়াসাঁকোর তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তার স্ত্রী রুচিকা। রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিয়ে সে খবর প্রকাশ করেছে লটারি আয়োজক সংস্থা। আর তারপর থেকেই রাজ্যজুড়ে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ডিয়ার লটারি। তা নিয়ে শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষের মধ্যে চলছে জোর আলোচনা। তারই মাঝে লটারির টিকিট কেটে রাতারাতি ভাগ্যবদল। মাত্র ৩০ টাকার টিকিট কেটে মালদহে কোটিপতি শ্যালক এবং ভগ্নিপতি। পরিবারে খুশির হাওয়া।
লটারির টিকিট কেটে কোটি টাকা পুরস্কার জিতলেন মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের পিপলা গ্রামের বাসিন্দা পিন্টু সাহা এবং কৃষ্ণ দাস। পিন্টু সাহার একটি ছোট পানের দোকান আছে। সেই দোকান থেকেই যা আয় হত তা দিয়ে অতি কষ্টে দিনযাপন করতেন তাঁরা। আর্থিক প্রতিবন্ধকতা নিত্যসঙ্গী তাঁদের। আর সেই বাধা অতিক্রম করেই দৈনন্দিন জীবন চলত। তবে জীবনযুদ্ধে কখনও হার মানেনি পিন্টু। সংসার চালাতে সব সময় কঠোর পরিশ্রম করতেন। তাঁর দৈনন্দিন সংগ্রামে বরাবরই পাশে পেয়েছেন শ্যালক কৃষ্ণ দাসকে।
[আরও পড়ুন: ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে যুবক, পাশে সংজ্ঞাহীন লিভ ইন পার্টনার, সল্টলেকে তীব্র চাঞ্চল্য]
বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ চা খেতে গিয়েছিলেন তাঁরা। ভাগ্যবদলের আশায় একটি লটারির দোকান থেকে দু’জনে টিকিট কাটেন। ডিয়ার লটারির ওই টিকিটের খেলা ছিল সন্ধে ৬টায়। কিছুক্ষণ পর খেলার ফলাফল বেরয়। তাতেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান দু’জনে। দেখেন কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন তাঁরা। সবটাই যেন ছিল তাঁদের কাছে স্বপ্ন। পুরস্কারের অর্থ মূল্য সমান ভাগে ভাগ করে নেবেন বলেই জানান শ্যালক এবং ভগ্নিপতি। তাঁরা আরও জানান, আগের মতোই একসঙ্গে থাকবেন। দিনবদলের আশায় খুশির হাওয়ায় ভরেছে পরিবার।