সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আকাশসীমায় ঢুকে পড়ায় তিনটি ড্রোন ধ্বংস করল সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (UAE)। ইয়েমেনের হাউথি বিদ্রোহীদের (Houthi Rebels) শিক্ষা দিতে সৌদি আরবের সংযুক্ত জোটের এই পদক্ষেপ বলে আমিরশাহী সূত্রে খবর। গত সোমবার ইজরায়েলের (Israel) প্রেসিডেন্ট নাফতালি বেনেটের সফর চলাকালীন মিসাইল হামলা হয় আরবে। তার দায়ও নেয় হাউথি বিদ্রোহীরা। তার বদলা নিতেই আমিরশাহী তাদের ড্রোন ধ্বংস করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আগেই হাউথিদের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল আমেরিকা। আমিরশাহীর পদক্ষেপ তাকেই আরও ত্বরান্বিত করল বলে মনে করছে আন্তর্জাতির মহল।
২০২০ থেকে ইজরায়েলের সঙ্গে আমিরশাহীর (UAE) সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। সেই সূত্রে ধরে জানুয়ারির ৩১ তারিখ আমিরশাহী সফর যান ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেজগ। তার আগে ইয়েমেনের এই হামলা চিন্তা বাড়িয়েছে। তবে পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই সফর করেন ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট। কিন্তু তার আগেই হামলা চালায় হাউথি জঙ্গিরা। ছোঁড়া হয় ব্যালিস্টিক মিসাইল। মাঝ আকাশেই সেটিকে ধ্বংস করে দেয় আমিরশাহীর বায়ুসেনা।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে ‘রক্ষা করতে’ ৩ হাজার অতিরিক্ত সেনা পাঠাচ্ছে আমেরিকা, এবার কী করবে রাশিয়া?]
আমিরশাহীর প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, মাঝ আকাশেই মিসাইল ধ্বংস করা হয়েছে। জনমানবহীন এলাকায় সেটি ভেঙে পড়ে। তবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কোনও প্রাণহানির খবর নেই। তারা আরও জানিয়েছে, “দেশ এবং দেশের মানুষকে রক্ষা করতে তৈরি আমরা। যে কোনও রকম বিপদকে ঠেকাতে প্রস্তুত রয়েছি।” উল্লেখ্য, এ নিয়ে চলতি মাসে আমিরশাহীতে তৃতীয়বার হামলা চালাল ইয়েমেনের জঙ্গিগোষ্ঠী।
[আরও পড়ুন: ভারতীয় জওয়ানের তাড়া খেয়ে গালওয়ানে জলে ডুবে মৃত্যু হয় ৩৮ চিনা সেনার, দাবি রিপোর্টে]
এদিন হাউথিদের তিন-তিনটি ড্রোন ধ্বংসের খবর পেয়ে ইরানের বিদেশমন্ত্রী টেলিফোনে আমিরশাহীর বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন ইয়েমেনের সাম্প্রতিক টালমাটাল পরিস্থিতি নিয়ে। তবে এই পরিস্থিতির জট কাটাতে তেহরান কোনও পদক্ষেপ নেবে কি না, তা স্পষ্ট করেননি ইরানের বিদেশমন্ত্রী। এর আগে ২০১৯ সালে দু’দেশের সম্পর্কের উন্নতি হওয়ায় ধীরে ধীরে ইয়েমেন থেকে সেনা সরাতে শুরু করেছি UAE. কিন্তু বছর দুয়েকের মধ্যেই ফের হাউথি বিদ্রোহীদের বাড়বাড়়ন্তে অশান্ত পরিবেশ তৈরি হয়। এবার তাই ফের তাদের রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিল আমিরশাহী।