সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক। মারণ ভাইরাসের কোপে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। শ’য়ে শ’য়ে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। প্রয়োজন প্রচুর অক্সিজেনের। রেমডিসিভিরের মতো ওষুধেরও সংকট রাজ্যে। নিরুপায় মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thakray) যোগাযোগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে। উদ্দেশ্য ছিল, কেন্দ্রের তরফে কিছু পরিমাণ অক্সিজেন এবং রেমডিসিভির সাহায্য চাইবেন তিনি। কিন্তু, মহারাষ্ট্র সরকারের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী বাংলার ভোটপ্রচারে ব্যস্ত থাকায়, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগই করা যায়নি।
মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান এনসিপি (NCP) নেতা নবাব মালিকের অভিযোগ,”মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বারবার রেমডিসিভির এবং অক্সিজেনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে চলেছেন। কিন্তু তাঁকে জানানো হয়েছে, মোদি বাংলার ভোটপ্রচারে ব্যস্ত আছেন।” এরপরই প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ,”করোনার (Coronavirus) কামড়ে মানুষ মারা যাচ্ছে, আর প্রধানমন্ত্রী রাজনীতি করছেন।” নবাব মালিকের দাবি, ভ্যাকসিনের সংশাপত্রে যেভাবে মোদির ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে, ঠিক সেভাবেই করোনায় মৃতের ডেথ সার্টিফিকেটেও থাকা উচিত প্রধানমন্ত্রীর ছবি। মোদি যদি টিকাকরণের কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন, তাহলে মৃত্যুর দায় নেবেন না কেন? নবাব মালিকের এই অভিযোগ প্রতিধ্বনিত হয়েছে তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়েনের টুইটেও। তিনি আবার বলছেন,”আশ্চর্যজনক! মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন নিজের রাজ্যের জন্য অক্সিজেন চেয়ে। তাঁকে নাকি বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী প্রচারে ব্যস্ত। পরে যোগাযোগ করবেন।” সোশ্যাল মিডিয়ায় এই অভিযোগে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেসও (Congress)।
[আরও পড়ুন: বাড়ছে করোনার প্রকোপ, ‘প্রতীকী কুম্ভমেলা’ পালনের আরজি প্রধানমন্ত্রী মোদির]
যদিও, নবাব মালিকের অভিযোগের কিছুক্ষণের মধ্যেই পালটা আসে কেন্দ্রের তরফে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে জানানো হয়, কেন্দ্র মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। শুক্রবার রাতেই প্রধানমন্ত্রী নিজে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। আসরে নামেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনও (Harsh Vardhan)। উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি। কেন্দ্রের তরফে আশ্বস্ত করেন, রাজ্যে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন এবং ওষুধ সরবরাহে কোনও সমস্যা হবে না।