সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উইঘুর মুসলিমদের উপর চিনের নিপীড়ন অজানা নয়। তবুও কতটা নির্মম হতে পারে সে দেশের শাসকদল কমিউনিস্ট পার্টি তা এবার প্রকাশ্যে এল। বেনজিরভাবে নিজের বন্দিদশার কথা এবার দুনিয়ার সামনে আনতে সক্ষম হয়েছে এক উইঘুর যুবক।
[আরও পড়ুন: চিনকে জোর ধাক্কা, মার্কিন সংস্থা থেকেই চিকিৎসা সামগ্রী কেনার নির্দেশ ট্রাম্পের]
বিবিসি ও গ্লোব এণ্ড মেইল সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে ‘শিক্ষা শিবিরে’ বন্দি উইঘুর যুবক মেরদান ঘাপপারের কথা তুলে ধরা হয়েছে। কোনওভাবে, প্রহরীদের কড়া নজরকে ফাঁকি দিয়ে বন্দি শিবিরে ফোন নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ফলে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন মেরদান। এক পারিবারিক বন্ধুকে পাঠানো মেসেজে তিনি জানিয়েছেন, বন্দিদের খাঁচার মতো অত্যন্ত ছোট কামরায় রাখা হয়। ভিড়ে ঠাসা ওই কামরাগুলিতে সোজা হয়ে ঘুমনোও যায় না। তিনি লেখেন, “প্রায় ৫০ স্কোয়ার মিটারের একটি কামরায় ৫০-৬০ জন বন্দিকে রাখা হয়েছে। জায়গা এতোই কম যে পা সোজা রেখে ঘুমনো পর্যন্ত যায় না। অনেকেই হাঁটুর মধ্যে মুখ গুঁজে বসে থাকেন। দিনের পর দিন এভাবেই চলছে।”
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, Taobao নামের একটি রিটেল সংস্থার কর্মী বছর তিরিশের মেরদানকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও, তাঁর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে, তা জানায়নি পুলিশ। গত মার্চ মাসে এই গ্রেপ্তারির খবর প্রকাশ্যে আসতেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে বেজিং। যদিও তাতে বিন্দুমাত্র হেলদোল নেই দেশটির। এর পর বিদেশি ওয়েবসাইট ঘাঁটার অভিযোগে মেরদানের ভাইকেও গ্রেপ্তার করেছে চিনের পুলিশ।
কয়েকদিন আগে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বন্দি শিবিরগুলিতে মাস্ক তৈরি করতে উইঘুর মুসলিমদের ‘গোলাম বাহিনী’কে কাজে লাগিয়েছে চিন। সেখানে বলা হয়েছে, বন্দি উইঘুরদের দিয়ে জোর করে তৈরি করানো ফেসমাস্ক অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানি করেছে বেজিং। চিনের হুবেই প্রদেশে প্রোটেক্টিভে পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থা Hubei Haixin Protective Products Group Co Ltd অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ২ লক্ষ মাস্ক রপ্তানি করেছে। অভিযোগ, সেই মাস্কগুলি জোর করে উইঘুর শ্রমিকদের দিয়ে তৈরি করানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীরে মানবাধিকার বলে কিছু নেই’, অভিযোগ রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি দলের]
The post ‘পা সোজা করার জায়গাও নেই’, চিনে অমানুষিক যাতনার কথা তুলে ধরলেন উইঘুর বন্দি appeared first on Sangbad Pratidin.