সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন দুয়েক আগেই ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রক ঘোষণা করেছে, কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানো হল। প্রথম ডোজের ১২-১৬ সপ্তাহ পরে নেওয়া যাবে টিকার (COVID-19 Vaccine) দ্বিতীয় ডোজ। কিন্তু ভারতের উলটো পথে হাঁটল ব্রিটেন। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ৫০ ঊর্ধ্বদের দু’টি টিকার মধ্যেকার সময়সীমা কমানোর সিদ্ধান্ত নিল বরিস জনসনের সরকার।
এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রিটেনের (Britain) প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, করোনার B1.617.2 ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত সংক্রামক। সংক্রমণ ঠেকাতে গণটিকাকরণে জোর দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে ৫০ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণের দু’টি ডোজের মধ্যেকার ব্যবধান কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এতদিন যাবৎ কোভিড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যে ব্রিটেনে ১২ সপ্তাহ ব্যবধান রাখা হচ্ছিল। এবার সেই ব্যবধান কমিয়ে ৮ সপ্তাহ করা হল।
[আরও পড়ুন: হামাসের বিরুদ্ধে ট্যাঙ্ক নামাল ইজরায়েল! সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ নেটফ্লিক্সের তারকা অভিনেত্রী]
এমনকী, করোনার এই নতুন স্ট্রেনের ধাক্কা সামলাতে বেশকিছু কঠিন পদক্ষেপ নিতে চলেছে জনসন সরকার। কোভিডের ধাক্কা অনেকটাই সামলে উঠেছে ব্রিটেন। গণটিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রাও প্রায় সম্পূর্ণ করে ফেলেছে। ফলে এবার ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরতে শুরু করেছিল সে দেশ। চলতি মাসেই লকডাউন তুলে নেওয়ার কথা। কিন্তু করোনার নতুন স্ট্রেনের ধাক্কায় স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাও এখন কার্যত বিশবাঁও জলে। খোদ ব্রিটিনের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, ভাইরাসটির নতুন প্রজাতি এত বেশি সংক্রামক যে ২১ জুন লকডাউন তুলে নেওয়ার বিষয়েও আরও একটু ভাবনাচিন্তা করতে হবে।
ব্রিটেনের এই সিদ্ধান্তের পরই ভারতীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ঘোষণা নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক, নেটিজেনদের একাংশের প্রশ্ন, “কেন বারবার নির্দেশিকা বদল করা হচ্ছে? এর পিছনে কি কোনও বৈজ্ঞানিক কারণ আছে? নাকি টিকার জোগান পর্যাপ্ত নয়, তাই দুটি ডোজের মধ্যেকার ব্যবধান বাড়ানো হচ্ছে।”