সৈকত মাইতি, তমলুক: চকোলেট, বিস্কুট, পাট কিংবা বাসমতি চাল প্রতিমা গড়ার উপকরণের তালিকায় এসব তো ছিলই। এবার কালীপুজোয় ব্লেডের প্রতিমা গড়ে চমকে দিয়েছে তমলুক শহরের টাউনস্কুল পাড়ার ভিবজিওর ক্লাব। ব্যবহৃত ব্লেড দিয়েই তৈরি হয়েছে ১৫ ফুটের কালী প্রতিমা। দীপাবলির আলোর রোশনাইয়ে ঝলকাচ্ছে ব্লেড। আর তা দেখতেই টাউনস্কুল পাড়ার এই ক্লাবে দর্শকদের হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। তমলুক শহরে বিগবাজেটের কালীপুজো কম হয় না। তবে এবার সব্বাইকে টেক্কা দিয়েছে ভিবজিওর ক্লাব। ব্লেডের প্রতিমা দেখতে তাই মণ্ডপে ভিড় লেগেই আছে। দীপাবলির রাতে তিলধারনের জায়গা নেই। ক্লাবের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকরা ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। অভিনব ব্লেডের প্রতিমা দর্শনে দর্শকদের এই ভিড় দেখে খুশি ক্লাব কর্তারাও।

তমলুকের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ভিবজিওর ক্লাব। লাগোয়া প্রাঙ্গণেই চলছে পুজো। স্থানীয় আসতারা এলাকার মৃৎশিল্পী অনুপ ঘড়াই এই প্রতিমা গড়েছেন। প্রতিমা তৈরিতে সব মিলিয়ে লক্ষাধিক ব্লেড লেগেছে। শিল্পী জানালেন, ভিবজিওর ক্লাবের কালীপুজো এবার ৩৮ বছরে পড়ল। প্রতিমা আদতে মাটি দিয়েই তৈরি হয়েছে। তারপর ব্লেডগুলিকে দুটো টুকরো করে প্রতিমার গায়ে বসানো হয়েছে। প্রতিমা সম্পূর্ণ করতে সব মিলিয়ে দু’লক্ষের কিছু বেশি টুকরো ব্লেড লেগেছে। দীপালিকার আলোকমালায় ঝলমলিয়ে উঠছেন শ্যামা মা। এই নবরূপে মাকে দেখতে পাল্লা দিয়ে ভিড়ও জমছে। প্রতিমা থেকে মায়ের গলার মুণ্ডমালা, গয়না, শিয়াল, সর্প সবই ব্লেড দিয়েই তৈরি হয়েছে। ক্লাব কর্তাদের ইচ্ছেকে বাহবা দিয়েই দীপাবলির সন্ধ্যায় ভিবজিওরের পুজো দেখতে টাউনস্কুল পাড়ায় থিকথিকে ভিড়।
[নববধূর সাজে নদিয়ার ভট্টাচার্য বাড়িতে এসেছিলেন দেবী]
পুজো কমিটির সম্পাদক অনুপ কুইল্যা বলেন,‘তমলুকের একাধিক পুজোমণ্ডপে শ্যামা মা অভিনব রূপ নিয়েছেন। তাই ভিবজিওর ক্লাবও এই ব্লেডের প্রতিমা গড়ার সাহস দেখিয়েছে। ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া ব্লেডকে কাজে লাগিয়েও যে এমন শৈল্পিক রূপ দেওয়া যায়, তা তুলে ধরতেই আমাদের এই উদ্যোগ।এই নবরূপের কালী প্রতিমা যে দর্শকদের আনন্দ দিয়েছে তা বুঝতেই পারছি। সেই সঙ্গে নিত্যনতুন থিম ভাবনার সাহসও পাচ্ছি। আগামী বছরও নতুন কিছু ভাবনা নিয়েই ফের দর্শকদের মন জয় করব আশা রাখছি।’
[পাহাড় চূড়ায় মন্দির, কালীপুজোয় সাধনা করতেন অগ্নিযুগের বিপ্লবীরা]
The post দীপাবলির রোশনাইয়ে ঝলকাচ্ছেন শ্যামা, তমলুকে ব্লেডের প্রতিমা দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড় appeared first on Sangbad Pratidin.