নব্যেন্দু হাজরা: ওলা-উবের তো ছিলই৷ এবার পণ্য পরিবহণের গাড়িও আসতে চলেছে অ্যাপসের আওতায়৷ ফলে অ্যাপস-এই এবারে করা যাবে ট্রাক বা লরি বুকিং৷ গুনতে হবে না দ্বিগুণ খরচও৷ এতদিন কলকাতা থেকে ট্রাকে কেউ পণ্য পাঠালে তাঁকে যাতায়াতের খরচ অর্থাৎ ট্রাক গন্তব্যে যাওয়া এবং গন্তব্য থেকে কলকাতায় ফেরার খরচ দিতে হত৷
কিন্তু এবার অ্যাপসে ক্লিক করে কোথায় পণ্য পাঠাতে চান, তা লিখলেই দেখতে পাওয়া যাবে কোন ট্রাক ওই রুটে যাবে৷ সেই গাড়ি বুক করে ফেলা যাবে এক দিকে যাওয়ার খরচেই৷ তবে শুধু পণ্য পরিবহণের জন্য ট্রাক নয়, বেসরকারি বাস থেকে ট্যাক্সি–সবাইকেই এবার অ্যাপসের আওতায় নিয়ে আসার পথ প্রশস্ত করল পরিবহণ দফতর৷ পরিবহণ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে সরকারের কিছু নির্দেশিকা মেনে যে কেউ গাড়ি সংক্রান্ত অ্যাপস আনতে পারবে৷ খুব শিঘ্রই এই অ্যাপস সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে দফতরের তরফে৷ দূরপাল্লার বাসে সিট বুকিং যাতে অ্যাপসের মাধ্যমে করা যায় সেই চিন্তাভাবনাও করা হচ্ছে৷
নবান্নসূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সংগঠন তাঁদের পরিষেবাকে উন্নত করার জন্য অ্যাপ ব্যবহার করতে চেয়েছিল৷ সেই আবেদন বিবেচনা করেই এই অ্যাপস আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ কেমন হবে গোটা প্রক্রিয়া? জানা গিয়েছে, অ্যাপসে রাখতে হবে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর, গাড়ির নম্বর, গাড়ির চালকের নাম, ড্রাইভিং লাইসেন্সের নম্বর, গাড়ির রুট, গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট, ট্যাক্স জমা দেওয়া সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য৷
এছাড়া অ্যাপসে থাকতে হবে গাড়ি ট্র্যাকিং করার পরিষেবা৷ চালকের ফোন নম্বর৷ অ্যাপস এমনভাবে বানাতে হবে, যাতে পুলিশ যে কোনও দরকারে ওই গাড়িতে থাকা যাত্রী বা চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে৷ গাড়ি বুক করা থেকে শুরু করে বুক শেষ না হওয়া পর্যন্ত অ্যাপসের মাধ্যমে ট্র্যাক রাখতে হবে৷
পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানান, এই অ্যাপস চালু হলে যাঁরা ট্রাকে করে পণ্য পাঠান তাঁদের অনেক সুবিধা হবে৷ খরচ তো অনেক কমবেই৷ পাশাপাশি ঘরে বসেই বুক করতে পারবেন ট্রাক বা অন্য গাড়ি৷ সরকারের এই পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বাস মিনিবাস সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যদি এই অ্যাপস চালু হয় তবে সবাই উপকৃত হবেন৷ যাঁরা বাইরে পণ্য পাঠান তাঁরা সব চাইতে লাভবান হবেন৷ এটা দরকার ছিল৷ তাছাড়া দূরপাল্লার বাসের সিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রেও যদি এই ব্যবস্থা চালু করতে বলায় সেক্ষেত্রে যাত্রীরাও লাভবান হবেন৷”
