shono
Advertisement

করোনা কালে জীবনের রূপান্তরই বড়িশা সর্বজনীনের এবারের পুজো ভাবনা

অতিমারীর ফলে তৈরি হওয়া রূপান্তরকে ফোটাতে চেয়েছেন শিল্পী।
Posted: 01:03 PM Oct 15, 2020Updated: 01:03 PM Oct 15, 2020

এবছর করোনা আবহেই পুজো। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাবগুলিতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি৷ কলকাতার বাছাই করা কিছু সেরা পুজোর সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির sangbadpratidin.in৷ আজ পড়ুন বড়িশা সর্বজনীনের পুজো প্রস্তুতি৷

Advertisement

বিশ্বদীপ দে: গত ছ’মাসে পৃথিবীটা অনেকটাই ওলট পালট হয়ে গিয়েছে। অতিমারীর (Pandemic) প্রভাব পড়েছে আমাদের শরীর ও মনে। জীবের সঙ্গে জড়ের রূপান্তর ঘটেছে। পালটেছে দেখার চোখও। যতই আমরা সরল সোজাভাবে বাঁচতে চাই না কেন, পরিস্থিতি যেন আমাদের সোজা থাকতে দিচ্ছে না। সামগ্রিক পরিস্থিতির সমান্তরালে এভাবে আমরাও রূপান্তরিত হচ্ছি। এই ভাবনাকে উপজীব্য করেই বড়িশা সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির এবাবের পুজো (Durga Puja 2020) ভাবনা ‘রূপান্তর’।

পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা তন্ময়বাবু বলছিলেন, ‘‘পরিস্থিতিটাই এমন যে আমরা কেউই সোজাভাবে দাঁড়িয়ে নেই। তাই মনে হচ্ছে আমাদের চারপাশে সব কিছুই বেঁকে গিয়েছে। তাই মণ্ডপেও তার ছাপ রাখা হয়েছে। যে বারোটি শিবমন্দির দেখানো হয়েছে, সেখানেও এর প্রভাব পড়েছে।’’ প্রতিমায় অবশ্য কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। তবে পালটে যাচ্ছে অসুরের ভঙ্গিমা। দেখা যাচ্ছে, অসুর উঠে দাঁড়াতে চাইছে। তাই মা দুর্গা তার পিঠের উপরে দাঁড়িয়ে তাকে দমন করতে চেষ্টা করছেন।

[আরও পড়ুন: শত্রু সংহার ও শান্তি স্থাপন, সেনার শৌর্যকে সম্মান জানিয়ে দেবী আরাধনা টালা বারোয়ারিতে]

এবছর ৭২ বছরে পদার্পণ করছে বড়িশা সর্বজনীন। গত কয়েক বছরে ‘আন্দামান’, ‘পালক’, ‘রূপেণ সংস্থিতা’ ইত্যাদি থিমে সকলকে চমকে দিয়েছিল তারা। এবারের ভাবনা ‘রূপান্তর’-এৱ সমগ্র পরিকল্পনা ও রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছেন দেবাশিস বারুই। প্রতিমাশিল্পী পিন্টু শিকদার।

[আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতিতেও ছেদ পড়ল না, এবারও চেতলা অগ্রণীতে দেবীর চক্ষুদান মমতার হাতেই]

করোনা পরিস্থিতিতে পুজোর আয়োজনে থাকছে বাড়তি সতর্কতা। দর্শনার্থীরা মণ্ডপে প্রবেশের আগে তাঁদের স্যানিটাইজ করা হবে। মণ্ডপে ঢোকার লাইনের শুরুতে এবং মণ্ডপে ঢোকার মুখে করা হবে থার্মাল চেকিংও। এছাড়া সামাজিক দূরত্বের জন্য গোল গোল বৃত্ত আঁকা থাকবে। সেই বৃত্তের নিয়মে এগোবে লাইন।

সারা বছরই নানা সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকে ক্লাব। এবছর করোনা ও আমফানের কবলে পড়া মানুষদের জন্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাছাড়া কোভিড যোদ্ধা কলকাতা পুলিশের কর্মীদের হাতেও নিরাপত্তা সরঞ্জাম তুলে দেওয়া হয়েছে। পুজোতেও কিছু করা যায় কিনা, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement