সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌনতা নিয়ে আমাদের দেশের নানা ট্যাবু রয়েছে। মন খুলে যৌনতা নিয়ে কথা বলাকে একেবারেই ভাল চোখে দেখা হয় না। এমনকী, এই নিয়ে কোনওরকম বইপত্র পড়াকে লোকে খারাপ চোখে দেখেন। আর তা থেকেই যৌনতা নিয়ে নানারকম ভুল তথ্যর জন্ম হয়। যা কিনা বড়সড় বিপদ ডেকে আনে। ঠিক যেমন কন্ডোম নিয়ে নানা ভুল ধারণা রয়েছে মানুষের মধ্যে। যার ফলে বহুবারই ঠকতে হয়।
কন্ডোম যেন নিষিদ্ধ কোনও বস্তু! কন্ডোম কেউ দেখতে পেলে বা কারও হাতে গিয়ে পড়লে রক্ষে নেই। কন্ডোম নিয়ে এরকম নানা চিন্তা ধারার শেষ নেই। আর তাই সবার থেকে কন্ডোমকে গোপন রাখার জন্য অনেকেই আলমারির একেবারে গভীর কন্ডোম রেখে দেন সযত্নে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এতে কন্ডোমের কার্যকারিতা লোপ পায়।
[আরও পড়ুন: চিকিৎসার ইতিহাসে বিশ্বে প্রথম, মিলনের সময় লম্বালম্বি ভাঙল যুবকের পুরুষাঙ্গ]
বেশিরভাগ পুরুষই মানিব্যাগের এক ফাঁকে কন্ডোম রেখে দেন। সেখানে কন্ডোম রাখলে, তা বসার সময় ঘষা লেগে ফুটো হয়ে যেতে পারে। গরমে তাপমাত্রায় হারাতে পারে কন্ডোমের কার্যকারিতাও। একই অবস্থা হতে পারে আলমারিতে জিনিসপত্রের নীচে কন্ডোম লুকিয়ে রাখলেও৷ অতিরিক্ত তাপে ও চাপে বেশিরভাগ সময় নষ্ট হয়ে যায় কন্ডোম ৷ তাই ব্যাগের কোণাতে রাখা কন্ডোমও নিরাপদ নয় ৷ ব্যাগের মধ্যেকার বাকি জিনিসের খোঁচায় ফুটো হয়ে যেতে পারে কন্ডোম ৷
কন্ডোম ব্যবহার করার আগে অবশ্যই দেখে নিন তার এক্সপেয়ারি ডেট। মেয়াদ উত্তীর্ণ কন্ডোম ব্যবহার না করাই উচিত। এতে হিতে-বিপরীত হতে পারে।
সঙ্গম চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছলে কন্ডোম পরলেই চলে। এ ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল । যৌনক্রিয়া ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছনোর আগেই শুক্রাণুরা প্রবেশ করতে শুরু করে নারীর যৌনাঙ্গে। সঙ্গম চলাকালীনই শুক্রাণুরা একে একে বেরোতে থাকে। ফলে শুরু থেকেই কন্ডোম পরে নেওয়া ভালো।
কথায় আছে সস্তার তিন অবস্থা। কখনই কম দামের কন্ডোম ব্যবহার করবেন না। জনপ্রিয় কোম্পানির কন্ডোম ব্যবহার করলে সমস্যায় পড়বেন না।
অনেকেই সঙ্গমের সময় কন্ডোমের উপর লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করেন। ময়েশ্চারাইজার, ভেজলিন না ব্যবহার করে ভাল কোম্পানির লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করুন।