সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষ মুহূর্তে এসে বিয়ে ভাঙছে পাত্রপক্ষ- এহেন ঘটনা মাঝে মাঝেই শোনা যায়। পণের দাবি-সহ নানা কারণে বিয়ের আসরেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক ঘটনায় উঠে এল একেবারে অন্য ছবি। অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেলেও বিয়ে ভেঙে দিলেন পাত্র। তাঁর দাবি, দ্বাদশ শ্রেণিতে একেবারেই ভাল নম্বর পেয়ে পাশ করেননি হবু কনে।
ব্যাপারটা ঠিক কী? জানা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশে কনৌজ জেলায় সোনি নামে একজনের সঙ্গে বিয়ের ঠিক হয় সোনু নামে এক ব্যক্তির। বিয়ের আগে প্রথামাফিক ‘গোদ ভরাই’ অনুষ্ঠানও হয় তাঁদের। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন আগেই সোনু জানিয়ে দেন, তিনি বিয়ে করতে পারবেন না। কেন? কারণ দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় সোনি খুব কম নম্বর পেয়েছিলেন।
[আরও পড়ুন: ইমরানকে ‘বাঁচাতে’ পুলিশকেই পেটাল পুলিশ, পাকিস্তানে রুদ্ধশ্বাস নাটক]
পাত্রপক্ষের তরফে এই কথা শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন সোনি ও তাঁর পরিবার। তাঁদের দাবি, ধুমধাম করে গোদ ভরাই অনুষ্ঠান হয়েছে। অনুষ্ঠান বাবদ খরচ হয়েছে বড় অঙ্কের টাকা। তার দু’দিন পরেই পাত্রপক্ষের তরফে পণ চাওয়া হয়। সোনির বাবা জানিয়েছেন, “আগেও একাধিক দাবি ছিল পাত্রপক্ষের। সেগুলো মিটিয়ে আবার নতুন করে আলাদা পণ দেওয়া সম্ভব নয়।”
বিয়ের সম্বন্ধ ভাঙার পরেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন সোনির বাবা। তাঁর দাবি, দশম শ্রেণিতে মেয়ের নম্বর কিছুটা কম ছিল। তবে দ্বাদশ শ্রেণিতে যথেষ্ট ভাল ভাবে পাশ করেছেন তিনি। কিন্তু পাত্রপক্ষ দশম শ্রেণির নম্বর নিয়েই অযথা অভিযোগ তুলছে। আসলে পণ দিতে না পারার জন্যই বিয়ে ভেঙেছে।” স্থানীয় পুলিশের দাবি, দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: টিকিট থাকা সত্ত্বেও তরুণীর সঙ্গে অভব্য আচরণ, ভাইরাল ‘মত্ত’ টিকিট পরীক্ষকের কাণ্ড ]