সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন৷ সুস্থ করানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ নেই৷ নিরুপায় হয়ে বছর ৩০-এর ছেলেকে শিকলে বেঁধে রেখে দিয়েছিলেন তাঁর বাবা৷ শেষে বন্দি ছেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে৷
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মইনপুরির রাজনগর গ্রামে৷ বৃহস্পতিবার ওই ছেলেটিকে উদ্ধার করেছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা৷
বাবা সতীশচন্দ্র যাদব, পেশায় দিনমজুর৷ জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সতীশচন্দ্র তাঁর ছেলে মনোজকে প্রায় ২০ বছর ধরে একটি ঘরে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন৷
কিন্তু কেন তিনি এই কাজ করলেন? সতীশচন্দ্র জানিয়েছেন, ১৯৯৬ সালে মনোজের মানসিক রোগ ধরা পড়ে৷ প্রথম-প্রথম কিছু বোঝা যায়নি৷ যখন মনোজের রোগের কথা জানতে পারেন সতীশচন্দ্র, তখন প্রথমদিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে জানতে পারেন, ছেলেকে সুস্থ করতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন৷ একপ্রকার বাধ্য হয়েই ছেলেকে হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান সতীশচন্দ্র৷ কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছু হয়নি৷ উল্টে দিনকে দিন রোগ বাড়তে থাকে৷ ক্রমেই আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন মনোজ৷
শেষে সরকারি সাহায্যের চেষ্টা করেন সতীশচন্দ্র৷ অনেক জায়গায় গিয়েও কোনও লাভ হয় না৷ অর্থের অভাবে শেষপর্যন্ত ছেলেকে ঘরের মধ্যে শিকল দিয়ে আটকে রাখার সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷ আর তারপর থেকেই ওই অবস্থায় ছিলেন মনোজ৷
প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মনোজের যাতে ভাল চিকিৎসা হয়, সেদিকে লক্ষ রাখা হবে৷ কোনওরকম গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না৷ ইতিমধ্যেই মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে মনোজকে৷
The post ২০ বছর ধরে ছেলেকে শিকলে বেঁধে রেখেছেন বাবা appeared first on Sangbad Pratidin.