shono
Advertisement

মৃত্যুর ৪ বছর পরেও অবিকৃত সন্ন্যাসিনীর দেহ! ‘অলৌকিক’ কাণ্ড চাক্ষুষ করতে ভিড় ভক্তদের

কফিন খুলতেই চমকে ওঠেন সকলে।
Posted: 08:16 PM May 31, 2023Updated: 08:16 PM May 31, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৯৫ বছর বয়সে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। দেহ কফিন-বন্দি করে সমাহিতও করা হয়েছিল। ১৪৬০ দিন পর কবর খুঁড়ে দেখা গেল অবিকৃত রয়ে গিয়েছে দেহ! এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে মার্কিন দেশের মিসৌরিতে। বিশেষ কারণে স্থানান্তরের জন্য সন্ন্যাসিনীর দেহ তোলা হয়েছিল। তখনই দেখা যায় চার বছর পরেও সামান্যই পরিবর্তন হয়েছে মৃতদেহের, পচন ধরেনি বললেই চলে। ‘অলৌকিক’ কাণ্ডের খবর ছড়াতেই সন্ন্যাসিনীকে চাক্ষুষ করতে ভিড় করছে মানুষ।

Advertisement

২৯ মে, ২০১৯। মৃত্যু হয় ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী উইলহেলমিনা ল্যাঙ্কাস্টারের। মৃত্যুর পর যাবতীয় রীতি মেনে কাঠের কফিনে ভরে দেহ সমাধিস্ত করা হয়। মাঝে মনাস্ট্রির ভিতরে রাখার জন্য তোলা হয় সন্ন্যাসিনীর দেহ। তখনই দেখা যায় চার বছর পরেও অবিকৃত রয়েছে দেহ। মনাস্ট্রির অন্য এক সন্ন্যাসিনীর বক্তব্য, অতি সাধারণ কাঠের কফিনে ভরে দেহ সমাহিত করা হয়েছিল। এর ফলে দেহে দ্রুত পচন ধরার কথা ছিল। মনে করা হয়েছিল ১৪৬০ দিন পর হার ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। যদিও ঘটল চমকে দেওয়া কাণ্ড। দেখা যায়, সন্ন্যাসিনীর দেহের অধিকাংশ অক্ষত রয়েছে। কেবল মুখের কিছু অংশ বদল এসেছে। চুল, চোখের পাতা, ভ্রু, নাক এবং ঠোঁটে কোনও রকম বিকৃতি দেখা যায়নি। মঠের এক সন্ন্যাসিনীর বক্তব্য, দেখে মনে হচ্ছিল উনি যেন হাসছেন।

[আরও পড়ুন: বৃদ্ধাকে মেরে তাঁর মাংস খেয়েছিলেন! ‘নরখাদক’ যুবকের মৃত্যু রাজস্থানের হাসপাতালে]

উল্লেখ্য, ক্যাথলিকরা বিশ্বাস করেন, সন্তদের দেহ মৃত্যুর পরেও ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। পুনর্জন্ম এবং নবজন্মের সাক্ষ দেন তাঁরা। ফলে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মার্কিন মুল্লুকে। অনেকেই মৃতা সন্ন্যাসিনীকে দেখতে মিসৌরিতে ছুটে যাচ্ছেন। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, কোনও কোনও ক্ষেত্রে মৃত্যুর কিছু বছর পরেও দেহ অবিকৃত থেকে যায়। বিরল না, এই ঘটনা স্বাভাবিক।

[আরও পড়ুন: মসজিদ কমিটির মামলা খারিজ, জ্ঞানবাপীতে হিন্দু মহিলাদের পুজোর আবেদন গ্রহণযোগ্য, বলল কোর্ট]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup ছাঁদনাতলা toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার