সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) আগে জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় দেশজুড়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তার মধ্যে স্বাধীনতা দিবসের আগের দিনই উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) পুলিশের হাতে ধরা পড়ল এক জইশ জঙ্গি। ১৯ বছর বয়সি ওই তরুণের সঙ্গে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের জঙ্গি সংগঠনের যথেষ্ট যোগাযোগ ছিল বলে জানা গিয়েছে। নূপুর শর্মাকে হত্যা করার পরিকল্পনাতেও সামিল ছিল ধৃত ব্যক্তি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতের নাম হাবিবুল ইসলাম ওরফে সইফুল্লা। আসলে বিহারের মোতিহারি জেলার বাসিন্দা হাবিবুল বেশ কিছুদিন ধরে উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরে বসবাস করছিল। উত্তরপ্রদেশ এটিএসের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “কিছুদিন আগেই মহম্মদ নাদিম নামে এক জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-E-Mohammed) জঙ্গিকে আটক করা হয়েছিল। তাকে লাগাতার জেরা করার পরেই হাবিবুলের নাম জানতে পারেন পুলিশ আধিকারিকরা।” মূলত নূপুর শর্মার উপরে হামলার চেষ্টার অভিযোগেই আটক করা হয়েছিল নাদিমকে।
[আরও পড়ুন: সঙ্গে ডজনখানেক পাসপোর্ট, বিভিন্ন মন্ত্রকের রাবার স্ট্যাম্প, দিল্লিতে ধৃত দুই বাংলাদেশি]
ডিজিটাল পরিচয়পত্র বানাতে খুবই দক্ষ হাবিবুল, এমনটাই জানিয়েছেন এটিএস কর্তারা। ইতিমধ্যেই প্রায় পঞ্চাশের বেশি জঙ্গিকে (Terrorist) নকল পরিচয়পত্র বানিয়ে দিয়েছে হাবিবুল। নানা সোশ্যাল মিডিয়া মারফত দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত সে। মানুষকে প্রভাবিত করার জন্য হাবিবুল প্রচুর জেহাদি ভিডিও শেয়ার করত বলেও জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এটিএস। সেই সঙ্গে জানা গিয়েছে, জইশের পাকিস্তানি নেতৃত্বের ডাকে সাড়া দিয়ে সেদেশে গিয়ে জেহাদি প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছিল সে। একই ধাঁচে ভারতেও জেহাদি প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল হাবিবুলের। ধৃতের কাছ থেকে একটি মোবাইল এবং সিমকার্ড পাওয়া গিয়েছে।
কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশ থেকে ধরা পড়েছিল সাবাউদ্দিন নামে এক আইসিস জঙ্গি। স্বাধীনতা দিবসে নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তারও। সাবাউদ্দিন আজমি ওরফে দিলওয়ার খান ওরফে বৈরাম খাঁ ওরফে আজার ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনে’র সদস্য ছিল। সে নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় আইসিসের হয়ে প্রচার করত। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে চরমপন্থী ইসলামিক আদর্শ প্রচার করত সে। সেই সঙ্গে জঙ্গি হওয়ার প্রলোভন দেখাত বিভিন্ন ব্যক্তিকে।