shono
Advertisement

দীর্ঘক্ষণ পড়ে করোনায় আক্রান্ত মৃতার দেহ, উদ্ধারে মোটা টাকা চাইল শববাহী যান, ভোগান্তি কালনায়

মৃতার স্বামী ও ছেলে পিপিই পরে মৃতদেহ গাড়িতে তুলে দেন।
Posted: 07:31 PM May 04, 2021Updated: 08:10 PM May 04, 2021

অভিষেক চৌধুরী, কালনা: প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা বাড়িতেই পড়েছিল মৃতদেহ। অনেক কাকুতি-মিনতির পর দেহ নিয়ে যেতে বাড়ি পৌঁছয় শববাহী যান। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত মৃতার দেহ সেই গাড়িতে তুললে দিতে হবে পাঁচ হাজার টাকা! গাড়িতে থাকা কর্মীদের এমন চাহিদার কথা শুনে মাথায় হাত পূর্বস্থলীর এক দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের। শেষপর্যন্ত মৃতার স্বামী ও ছেলে পরেই ফেলেন পিপিই কিট। তাঁরাই দেহ তুলে দেন গাড়িতে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার চাঞ্চল্য ছড়ায় পূর্বস্থলী ১ ব্লকের দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের বেলগড়িয়া গ্রামে। করোনায় আক্রান্ত মৃতার ওই পরিবার দিনভর চরম হয়রানির শিকার হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, পূর্বস্থলীর বেলগড়িয়া গ্রামের ওই মহিলা বেশ কিছুদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন। চিকিৎসার জন্য তাঁকে কল্যাণী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষার পর জানা যায় তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ। হাসপাতালে বেড না থাকায় তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। বাড়িতেই ওই মহিলার চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু সোমবার রাত তিনটে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। তারপরই শুরু দুর্ভোগ ও চরম হয়রানি।

[আরও পড়ুন : দাবি সার! জঙ্গলমহলে দিলীপ ঘোষের নিজের গ্রামেই পিছিয়ে বিজেপি]

পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, প্রশাসন ও স্থানীয় স্বাস্থ্যদপ্তরে মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়। তারপরেও দিনভর মৃতদেহ বাড়িতেই পড়ে ছিল। প্রায় সাড়ে এগারো ঘণ্টা পরে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ কালনা পুরসভার শববাহী গাড়ি পৌঁছয় বাড়িতে। তারপরও ভোগান্তির শেষ নেই। অভিযোগ, করোনায় মৃতার দেহ প্যাকিং করে গাড়িতে তুলতে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন গাড়িতে থাকা কর্মীরা। কিন্তু সেই চাহিদা মেটানোর ক্ষমতা ছিল না পরিবারটির। শেষে একপ্রকার বাধ্য হয়েই মৃতার স্বামী ও ছেলে নিজেরাই পিপিই কিট পরে মৃতদেহ প্যাকিং করে গাড়িতে তুলে দেন।

ঘটনাপ্রসঙ্গে মৃতার ছেলে রবিন পাল বলেন, “সারাদিন ধরে মৃতদেহ নিয়ে বসে আছি। যাঁরা গাড়ি করে এসেছিলেন তাঁরা জানান, প্যাকিং করে দেহ গাড়িতে তুলতে ৫ হাজার টাকা লাগবে। আমরা গরীব মানুষ। কোথায় টাকা পাব। তাই নিজেরাই পিপিই কিট পড়ে দেহ গাড়িতে তুলে দিতে বাধ্য হই।” পূর্বস্থলী ১ ব্লকের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মহম্মদ নৌমান শেখ বলেন, “কোভিড প্রোটোকল মেনেই মৃতার দেহ গাড়িতে করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।” যদিও টাকা চাওয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি।

[আরও পড়ুন : ‘নিরাপত্তা দিতে না পারলে আমাদের ইস্তফা দেওয়া উচিত’, বাড়তে থাকা হিংসা নিয়ে মন্তব্য অর্জুনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement