সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে পেরিয়ে গিয়েছে দুবছরেরও বেশি সময়। এখনও থামেনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। কিন্তু এবার কি বন্ধ হবে রক্তক্ষয়ী লড়াই? তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের কাছে তেমনই দাবি চারটি রাশিয়ান সূত্রের। তবে পুতিন নাকি বলেছেন, কিয়েভ বা পশ্চিমি দুনিয়া যদি তাঁর প্রস্তাবে কোনও প্রতিক্রিয়া না জানায় তাহলে অবশ্য তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন।
বাণিজ্যিক বা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে কাজ করেছেন বা করছেন, এমন অন্তত পাঁচজন এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। তবে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক তাঁরা। এদিকে পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভও এই বিষয়ে মুখ খুলতে গিয়ে জানিয়েছেন, তাঁরা 'অনন্ত যুদ্ধ' চান না। তাই যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনা চালাতে আপত্তি নেই তাঁদের।
[আরও পড়ুন: মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত মেধা পাটেকর, কী অভিযোগ সমাজকর্মীর বিরুদ্ধে?]
কিন্তু এতদিন পরে কেন পুতিন যুদ্ধ থামানোর বিষয়ে মুখ খুলছেন? এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মত, গত মার্চে সদ্য নতুন করে ক্ষমতায় ফিরেছেন তিনি। তাঁর হয়তো মনে হয়েছে, এই যুদ্ধ থেকে ক্ষমতায় টিকে থাকা অর্থাৎ রাজনৈতিক ক্ষমতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট লাভবান হয়ে গিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে এই যুদ্ধ বন্ধ হলেও তাঁর কোনও ক্ষতি হবে না। তাছাড়া ক্ষমতা ধরে রাখলেও ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তাঁর জনপ্রিয়তায় যে ভাটার টান, সেতথ্যও দিব্যি জানেন পুতিন। এহেন পরিস্থিতিতে তাই একগুঁয়ের মতো যুদ্ধ না করে বরং আলোচনায় যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হয়েছেন তিনি। ঠিকমতো যেপথে এগোলে হয়তো যুদ্ধবিরতির পথে হাঁটা সম্ভব হবে। তবে এখনও পুরো বিষয়টিই প্রায় জল্পনার স্তরে রয়েছে। তাই যুদ্ধবিরতি বা সেই সংক্রান্ত আলোচনা এখনও কুয়াশাচ্ছন্নই রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই যুদ্ধে ইউক্রেনের মতো রাশিয়াকেও মারের মুখে পড়তে হয়েছে। টানা লড়ার ফলে রণক্ষেত্রে অস্ত্রের জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে মস্কো। অপর্যাপ্ত উৎপাদনের কারণে অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদের জন্য বিকল্প উৎস খোঁজা হচ্ছে। যা দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের পথ নয়। যদিও খারকিভ-সহ ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে এখনও চলছে অক্লান্ত হামলা। এই অবস্থায় সত্যিই যুদ্ধবিরতি হয় কিনা সেটাই দেখার।