সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবারই আচমকা ইউক্রেনে (Ukraine) হাজির হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির (Volodymyr Zelensky) পাশে দাঁড়িয়ে রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রনেতা। পরের দিনই যুদ্ধের গতি বাড়ানোর ঘোষণা করতে চলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারই সংসদ ও সেনার শীর্ষকর্তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন পুতিন। আরও মরিয়া লড়াইয়ের ডাক দেবেন রুশ প্রেসিডেন্ট, এমনই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
এক বছর আগে ইউক্রেনে হামলা (Russia Ukraine War) শুরু করে রাশিয়া। যদিও যুদ্ধ না বলে এই প্রক্রিয়াকে সামরিক অভিযান বলে দাবি করেন পুতিন। দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চললেও ইউক্রেন দখল করতে পারেনি রাশিয়া। এমনকি বেশ কয়েকবার পিছু হটে রুশ বাহিনী। ফলে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চললেও এখনও সেভাবে সাফল্যের মুখ দেখেনি রাশিয়া।
[আরও পড়ুন: মাত্র ২ সপ্তাহের ব্যবধান, ফের শক্তিশালী ভূমিকম্প তুরস্কে, আহত অন্তত ২০০]
এহেন পরিস্থিতিতে এক বছরের পর্যালোচনা করতে চলেছেন পুতিন। ইউক্রেনের মাটিতে কতটা সফল হয়েছে সামরিক অভিযান, সেই নিয়ে বিস্তারিত বক্তৃতা দেবেন তিনি। সাংসদ ও সেনা আধিকারিকদের সামনে যুদ্ধের গতি বাড়ানোর প্রস্তাব দেবেন পুতিন, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, বাইডেনের হুঁশিয়ারির পালটা দিতেই মরিয়া লড়াইয়ের পথে হাঁটতে পারেন পুতিন।
শুধু যুদ্ধ নয়, কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও গত এক বছরে কতখানি সাফল্য পেয়েছে রাশিয়া, সেই বিষয়টিও বক্তৃতায় তুলে ধরবেন পুতিন। আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়ার বিপুল নিষেধাজ্ঞা সামলেও কীভাবে উন্নতি করেছে রাশিয়া, সেই খতিয়ান তুলে ধরবেন। আরও জানা গিয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই মস্কো সফরে যাবেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সাহায্য করতে পারে বেজিং, এমনটাই শোনা যাচ্ছে। ফলে আরও আক্রমণাত্মকভাবে যুদ্ধ শুরু করবে রাশিয়া।