চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: জলের দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। দাম না মেলায় মাথায় হাত কৃষকদের। ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমার ভরতপুর ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম। রাজ্যের কাছে সাহায্যের আরজি জানিয়েছেন চাষিরা।
কৃষকদের এই দুর্দশা আজ নতুন নয়। মুর্শিদাবাদ জেলার মধ্যে সবথেকে বেশি তরমুজ উৎপাদন হয় ভরতপুর থানা এলাকায়। কিন্তু যে পরিমাণ দাম পাওয়ার কথা তা কৃষকরা পান না। কান্দি মহকুমা কৃষি আধিকারিক পরেশনাথ বল জানিয়েছেন, “মূলত এই ভরতপুর ব্লক এলাকার চারিদিকে রয়েছে নদী। ময়ূরাক্ষী, বাবলা, কানা ময়ুরাক্ষী, কুয়ে, নদীগুলির বালি জমিতে এই ফসলের উৎপাদন সব থেকে বেশি হয়। এবারও ভরতপুর থানার আলুগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত আমলায়, মাসলায়, আঙ্গারপুর গ্রাম গুলির মাঠে প্রচুর পরিমাণে তরমুজের ফলন হয়েছে। উৎপাদন বেশি হওয়ায় ও চাহিদা কম থাকায় পর্যাপ্ত মূল্য পাচ্ছে না কৃষকরা।”
[আরও পড়ুন: জারি ১৪৪ ধারা, রিষড়ায় ঢুকতে বাধা পেয়ে বিক্ষুব্ধ সুকান্ত, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ]
ভারতপুর থানার আঙ্গারপুর গ্রামের কৃষক সালাম শেখ, লিয়াকত শেখ প্রমুখরা জানিয়েছেন, এবছর তিন বিঘা জায়গায় প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা ধার দেনা করে বীজ সার, কীটনাশক কিনে তরমুজের চাষ করেছিলেন। ফলন হয়েছে ভাল। কিন্তু উৎপাদনে তুলনায় চাহিদা কম থাকায় বিক্রি কম হলে উপযুক্ত মূল্যও পাচ্ছেন না। পাইকারি মূল্য হিসেবে ১৫ টাকা প্রতি কেজি দাম দিয়ে আমাদেরকে তরমুজ বিক্রি করতে হচ্ছে। কিন্তু ৩০ টাকা প্রতি কেজি দামে বিক্রি হলে লাভ হত। ফলে চাষের খরচ ওঠা নিয়ে চিন্তায় কৃষকরা। কৃষকরা বলেন, “আমরা পুরো বিষয়টি এলাকার বিধায়ক মারফত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, যাতে কিছু সাহায্য হয়। রাজ্য সরকার আমাদের কাছ থেকে তরমুজ কিনলে সবথেকে বেশি উপকৃত হব।” ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, “কৃষকদের আবেদন মতো আমি একটি আবেদন পত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে জমা দিয়েছি।”