নিরুফা খাতুন: বৈশাখের শুরু থেকেই হাই রান রেটে ব্যাটিং চালাচ্ছে গরম। একটু বেলা বাড়তেই ফাঁকা রাস্তাঘাট। যাঁরা রাস্তায় থাকছেন, নাজেহাল দশা তাঁদের। শুকিয়ে যাচ্ছে পুকুর, নালার জল। গলতে শুরু করেছে রাস্তার পিচ। হবে নাই বা কেন! গত পঞ্চাশ বছরে গরমের ইতিহাসে এই রকম টানা গরম আবহাওয়া দেখেননি কলকাতাবাসী। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। কলকাতার ৫০ বছরের ইতিহাসে টানা ৪১-এর কাছাকাছি তাপমাত্রা ধরে রেখে নতুন রেকর্ড তৈরি করল এবারের গরম।
এবারে গরমের শুরু থেকে পুড়ছে গোটা বাংলা (West Bengal)। পশ্চিমের জেলাগুলোতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে উপরেই থাকছে। পিছিয়ে নেই দক্ষিণের জেলাও। এপ্রিলের শুরু থেকে কলকাতার (Kolkata) তাপমাত্রা ৪০-৪১ ডিগ্রির আশেপাশেই ঘোরাঘুরি করেছে। আবহাওয়া দপ্তরের রেকর্ড বই অনুসারে, শেষ পঞ্চাশ বছরে টানা এতদিন ৪১ ডিগ্রির কাছাকাছি তাপমাত্রা থাকেনি। ১৯৮০ সালে এপ্রিল মাসে কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪১.৭ ডিগ্রিতে। ২০২৩ সালে এপ্রিল মাসে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পারদ ছুঁয়েছিল কলকাতায়। ২০১৬ ও ২০১৪ সালেও শহরের তাপমাত্রা বেশ কয়েকদিন ৪১ ডিগ্রির গণ্ডি ছাড়িয়েছিল। চলতি বছরে ১৪ এপ্রিল শহরের তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি হয়েছিল। সেই শুরু। পারদ মিটার কিছুতেই চল্লিশের গণ্ডি থেকে নামছে না। আগামী সপ্তাহ জুড়েও এই অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। সোম এবং মঙ্গলবার দাবদাহ কিছুটা কমলেও অস্বস্তি একই থাকবে।
[আরও পড়ুন: জেলে কেজরিওয়ালকে ধীরে ধীরে হত্যার চেষ্টা! বিস্ফোরক অভিযোগ আপের]
আজ, রবিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা ছিল। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। সোম এবং মঙ্গলবার দাবদাহ কিছুটা কমবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং নদিয়াতে (Nadia)। বুধবার থেকে আবার তাপপ্রবাহ চলবে। বৃহস্পতিবার তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। সোম এবং মঙ্গলবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম-সহ সংলগ্ন এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই বৃষ্টি তাপপ্রবাহের কোনও প্রভাবই ফেলতে পারবে না বলেই মত আবহাওয়াবিদদের।