গৌতম ব্রহ্ম: পরিবার পরিকল্পনার জাতীয় সম্মেলনে দ্বিতীয় স্থান দখল করল বাংলা। পোস্টপার্টাম ইনট্রাইউটেরাইন কনট্রাসেপ্টিভ ডিভাইস (পিপিআইইউসিডি) ব্যবহারে এগিয়ে থাকার সুবাদেই এই সাফল্য। বুধবার এই খবর জানিয়ে টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই পরিষেবায় যুক্ত সবাইকে অভিনন্দন জানান।
সন্তান জন্ম দেওয়ার পর বা গর্ভপাতের পর ফের যাতে গর্ভসঞ্চার না হয় তার জন্যই এই যন্ত্র জরায়ুর মধ্যে বসানো হয়। বাংলার সরকারি হাসপাতালগুলি এই যন্ত্র ব্যবহারে বাকি রাজ্যগুলিকে টেক্কা দিয়েছে। উল্লেখ্য, প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার বাড়িয়ে প্রসূতিমৃ্ত্যুর হার কমিয়েছে বাংলা। এই সাফল্যের পিছনে এই পিপিআইইউসিডি-র ভূমিকা রয়েছে।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের ২০ হাজার অস্থায়ী পদে নিয়োগেও দুর্নীতি! কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ চাকরিপ্রার্থীরা]
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৭-১৯ সালের স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সার্ভের (এসআরএস) রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, ২০১৬-১৮ সালের তুলনায় সাম্প্রতিকতম এই রিপোর্টে সারা দেশই প্রসূতি মৃত্যুর হার বা ম্যাটারনাল মর্টালিটি রেশিও (এমএমআর) কমানোর ব্যাপারে প্রভূত উন্নতি করেছে।
প্রতি লাখে প্রসূতি মৃত্যুর হার বা এমএমআর দেশের ক্ষেত্রে ১১৩ থেকে কমে হয়েছে ১০৩। কমেছে সিংহভাগ রাজ্যেরই প্রসূতি মৃত্যুর হার। কিন্তু হরিয়ানা, ছত্তিশগড় ও উত্তরাখণ্ডের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে বেড়ে গিয়েছে এমএমআর। রাজ্যে ২০১৬-১৮ সালে এমএমআর ছিল ৯৮। কিন্তু তা ২০১৭-১৯ সালে বেড়ে ১০৯ হয়ে গিয়েছে। তবে সেই সমস্ত বাধাবিপত্তি কাটিয়ে পরিবার পরিকল্পনার জাতীয় সম্মেলনে দ্বিতীয় স্থান দখল করল বাংলা।