জয়ন্ত ঘোষাল: প্রশান্ত কিশোরকে আমি প্রথমবার দেখেছিলাম পাটনায়। নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিচ্ছেন। সেবার লালুপ্রসাদ যাদব আর নীতীশ কুমার একযোগে নির্বাচনে লড়ে বিধানসভায় ক্ষমতায় এলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরসঙ্গী হয়ে আমি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিলাম। গান্ধী ময়দানে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি হয়েছিল। সেই সময় আমরা যে হোটেলটায় ছিলাম, সেটা ছিল একেবারে গান্ধী ময়দানের সামনেই। মমতা জানলা দিয়ে দেখতে পাচ্ছিলেন সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের তোড়জোড়। নাটকীয়ভাবে, গাড়ি না নিয়ে, হোটেল থেকে পায়ে হেঁটেই, তিনি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে গেলেন। ওঁর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদেরও হাঁটতে হয়েছিল। মঞ্চে দেখলাম, খুব সক্রিয় একজন সপ্রতিভ যুবক। তিনি খুব বেশি কথা বলছেন না এবং মাঝে মাঝে বসছেন। কিন্তু বেশিরভাগ সময়টাই একটা সমন্বয়সাধনের কাজ করে চলেছেন।
[আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে বিজেপি বিরোধী শিবিরের মুখ কি মমতাই?]
সেবার রাহুল গান্ধীর বিমানে বিভ্রাট হয়েছিল বলে তাঁর অনুষ্ঠানে আসতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণে তিনি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকতে পারলেন না। পরে তিনি নীতীশ কুমারের বাড়িতে চা-চক্রে অংশ নিলেন। নীতীশ কুমারের সেই চা-চক্রে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম সাক্ষাৎকার হয়। মমতার সঙ্গে প্রশান্ত কিশোর কথা বলতে চাইলেন এবং নীতীশ কুমার তাঁদের আলাপ করিয়ে দিলেন। প্রশান্ত কিশোর মমতার সঙ্গে একটু আলাদা হয়ে, একটা সোফায় বসে, কথা বললেন। সেবার আলাপ হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখনও প্রশান্ত কিশোরকে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না।
এরপর প্রশান্ত কিশোর পশ্চিমবঙ্গে এলেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র তৈরি হল। সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকলেও, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে তিনি তাঁর সংস্থার কাজকর্ম শুরু করলেন। প্রত্যহ সম্ভব না হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর খোঁজখবর রাখতেন এবং প্রশান্ত কিশোরও নিয়মিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর ‘ফিডব্যাক’ দিতেন।
এহেন প্রশান্ত কিশোর, ২০২১ সালে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র বিরুদ্ধেও একটা মধুর বদলা নিলেন। ২০১৪ নয়, তারও আগে, ২০১২ সালে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের সময় নরেন্দ্র মোদির প্রতিনিধি হিসাবে প্রশান্ত কিশোর যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরপর ২০১৪ সালে ‘চায়ে পে চর্চা’ স্লোগানের স্থপতি প্রশান্ত কিশোর এক চূড়ান্ত সাফল্য অর্জন করেন। কিন্তু নানা কারণে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বিজেপির গাঁটছড়া ছিন্ন হয়।
কেউ কেউ বলেন, প্রশান্ত কিশোরের প্রস্তাব ছিল- প্রশাসনে Lateral Entry, অর্থাৎ সবসময় যে আইএএস, আইপিএস-কে দিয়েই কাজ করাতে হবে, তা নয়। প্রশান্ত কিশোর চলে যাওয়ার পরেও প্রধানমন্ত্রীর সেই আইডিয়াটা পছন্দ ছিল। বেশ কিছু ক্ষেত্রে Lateral Entry হয়েছিল। কিন্তু প্রশান্ত কিশোর যতটা চেয়েছিলেন, সেটা করতে সরকারের আপত্তি ছিল। তার ফলে, ২০১৪-র বিজয় লাভের পর, প্রশান্ত কিশোর বিদায় নেন। অবশ্য, এটাই একমাত্র কারণ কি না- সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। অনেকে বলেন, অমিত শাহ-র সঙ্গে মতপার্থক্য হয় বলেই মূলত প্রশান্ত কিশোর চলে আসেন।
তারপর ২০১৫-তে বিহার, ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ, ২০১৯-এ অন্ধ্রপ্রদেশ, ২০২০-তে দিল্লি এবং বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রশান্ত কিশোর অংশ নেন। তখন নীতীশ কুমারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ২০২১-এ তিনি তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব নিলেন। ২০২২-এ আবার পাঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচন আছে।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জেডিইউ-তে যোগ দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। নীতীশ কুমারের সঙ্গে তাঁর যে বিরোধ, সেটা মূলত হয়েছিল নাগরিকত্ব বিল নিয়ে। প্রশান্ত কিশোর নাগরিকত্ব বিলের প্রকাশ্য বিরোধিতা করায় ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। প্রশান্ত কিশোরের জীবনে কিন্তু নানারকমের ঘনঘটা আছে। প্রশান্ত কিশোর বলছেন, তিনি এবার দায়িত্ব থেকে মুক্তি নিচ্ছেন। যদিও তিনি বলেছিলেন, বিজেপি যদি ১০০ অতিক্রম করে, তাহলে তিনি এই কাজই ছেড়ে দেবেন। যদিও তেমনটা হয়নি, তবুও ভোটের ফলাফল বেরনোর দিনই প্রশান্ত কিশোর ঘোষণা করেছেন যে, তিনি তাঁর সংস্থা থেকে ইস্তফা দিয়ে অন্য কিছু করবেন। প্রশান্ত কিশোরকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি কিন্তু বলছেন, তিনি অন্য কিছু ভাবছেন না এবং অন্য কিছু করার ইচ্ছাও তাঁর আর নেই। রাজ্যসভার সদস্য হওয়ার ব্যাপারেও তিনি বলেছেন, এ গুজব, সত্য নয়। তিনি এই ইঁদুর দৌড়ে নেই।
প্রশান্ত কিশোর মনে করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে বিজয় লাভ হয়েছে, সেটা নিছক হিন্দু এবং মুসলমানের মেরুকরণের জন্য নয়। বরং তিনি বারবার বলছেন, গুজরাটে যখন বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল, নরেন্দ্র মোদিও কিন্তু গুজরাটের নাম নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। তাহলে, আজ যদি বাংলার গৌরবকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন লড়েন এবং বাঙালি জাতিসত্ত্বাকে গুরুত্ব দেন– তাতে অন্যায়টা কী আছে? তার মানে কিন্তু এই নয়, তিনি সর্বভারতীয় স্তরে বাঙালি সত্ত্বাকে রক্ষা করতে গিয়ে ভারতীয় সত্ত্বাকে অবজ্ঞা করছেন বা কম গুরুত্ব দিচ্ছেন। প্রশান্ত কিশোর বলছেন, বিজেপির এতজন রথী-মহারথীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রচারে নামানো হয়েছিল। শুধু ময়দানে লোক নামালেই কিন্তু ভোটে জেতা যায় না। অর্থাৎ, শুধু লোকবল দিয়ে, বাহুবল দিয়ে ভোটে জেতা যায় না। প্রশান্ত কিশোর উদাহরণ দিয়ে বললেন, দিল্লির নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরিওয়াল এসেছিলেন। সেই নির্বাচনেও তো বিজেপি বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৩০ জন এমপি-কে নিয়ে এসে প্রচারে নামিয়ে দিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ করেছেন। তাঁর রাজ্যের প্রশাসনের যে কাজকর্ম, সেগুলোকে সঠিকভাবে প্রচার করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই রাজ্যের প্রধান মুখ হিসাবে, বাঙালি সত্ত্বাকে হাতিয়ার করে ‘বাংলার কন্যা’ হিসাবে নিজেকে প্রস্তুত করে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছেন। সেখানে অন্য তরফে শুধুমাত্র বাহুবল এবং লোকবল দেখিয়ে, বেশি আস্ফালন দিয়ে জেতা যায় না।
এক্ষেত্রে প্রশান্ত কিশোরের গুরুত্ব যে ক্রমশ বেড়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। দিল্লির যে নির্বাচনের কথা প্রশান্ত কিশোর বলছেন, সেখানকার দায়িত্বেও তো তাঁর সংস্থাই ছিল। প্রশান্ত কিশোর সম্পর্কে অনেকে বলেন, তিনি শুধু ভোটের সময় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করেন, না কি তিনি রাজনীতিরই অংশ- তা বোঝা মুশকিল।
প্রশান্ত কিশোর নিজের পরিচয় দেন, ‘পলিটিক্যাল কনসালট্যান্ট’ হিসাবে। মাত্র ৪৪ বছর বয়স তাঁর। ’৭৭ সালে, বিহারের রথাস গ্রামে তিনি জন্মেছিলেন। ব্রাহ্মণ সন্তান, তাঁর প্রকৃত নাম- প্রশান্ত কিশোর পাণ্ডে। যদিও তিনি তাঁর পদবি প্রকাশ্যে আনেন না। বিহারে এমন একটা প্রথা রয়েছে এবং অনেকেই তা অনুসরণ করেন। প্রশান্ত কিশোরের বাবা ছিলেন একজন চিকিৎসক। তিনি রথাসথেকে চলে আসেন বিহারের বক্সারে। সেখান থেকেই প্রশান্ত কিশোরের সেকেন্ডারি শিক্ষা হয়। তারপর দিল্লির হিন্দু কলেজে তিনি পড়াশোনা করেছেন। তিনি যখন পড়াশোনা করতেন, প্রত্যেকটি পরীক্ষায় তিনি খুব সহজেই পাস করতেন। খুব মেধাবী ছাত্র ছিলেন। অঙ্ক খুব ভাল পারতেন। কিন্তু অস্থিরমতি। হয়তো হায়ার সেকেন্ডারি পাস করলেন, তারপরে দু’-বছর আর কলেজে যাওয়ার নাম-গন্ধ নেই। তাঁর বাবা রাগ করে বলতেন, অন্য ভাইয়েরা সব পড়াশোনা করছে, তারা অনেক টাকা রোজগার করবে। তুই একটা ফাঁকিবাজ- তোর দ্বারা কিচ্ছু হবে না। তোর জীবনে সরস্বতীর কৃপাও হচ্ছে না, কখনও মা লক্ষ্মীর কৃপাও হবে না। কিছুটা জোর করেই হিন্দু কলেজে ভরতি করে দিয়েছিলেন তাঁর বাবা। এরপর দেখা গেল প্রশান্ত কিশোর তাঁর বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সাংঘাতিক সাফল্য অর্জন করলেন।
তিনি যে বিদেশে গিয়ে অক্সফোর্ড, কেমব্রিজে পড়াশোনা করে একদম ট্যাশ হয়ে গিয়েছেন- এমন নয়। ইংরেজিটা শিখেছেন এবং শহুরে উচ্চারণে ইংরেজি বলেন। চিকিৎসক পিতা শ্রীকান্ত পাণ্ডের পুত্র প্রশান্ত কিশোর কিন্তু সরাসরি চাকরি পেলেন একেবারে রাষ্ট্রসংঘে। টানা সাত-আট বছর তিনি সেই চাকরিটা করেন এবং পাটনাতে বসেই তিনি রাষ্ট্র সংঘের নানা রকমের কাজকর্ম করছিলেন। এরপর তিনি প্রথম একটা সংগঠন তৈরি করেছিলেন, যার নাম ‘CAG’. এই ‘CAG’-এর মাধ্যমে তিনি নির্বাচনের প্রচারের সমস্ত কাজকর্ম করতেন। পরে তাঁর সংস্থা ‘CAG’-র নাম বদলে হয় ‘I-PAC’। এই সংগঠনের পাশাপাশি বিহারে প্রশান্ত কিশোরের অত্যন্ত সক্রিয় একটা যুব সংগঠনও আছে। এই যুব সংগঠনের কাজ হল, যেসব যুবক রাজনীতিতে আসতে চান এবং যাঁরা উত্তরাধিকার-সূত্রে রাজনীতিতে আসতে পারছেন না, খুবই সাধারণ মানুষ যাঁরা, তাঁরা যাতে রাজনীতিতে আসতে পারেন- তার সমস্ত ব্যবস্থা করা।
প্রশান্ত কিশোর সংখ্যাতত্ত্ব দিয়ে দেখালেন যে, এখনও সংসদে যুব প্রতিনিধি সংখ্যায় কত কম এবং সেই যুব প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রায় শতকরা ৫০ ভাগই এসেছেন পারিবারিক সূত্রে। অর্থাৎ, একদম নিচুতলা থেকে উঠে আসা কোনও যুবক রাজনীতিতে অংশ নিচ্ছেন, সেইরকম উদাহরণ খুবই কম। প্রশান্ত কিশোর কিন্তু একটা সাংঘাতিক জায়গা ধরেছেন! তিনি প্রকাশ্যে আসেন না। নিজের যতটুকু প্রচার দরকার এবং যখন তা প্রয়োজন- তখন ততটুকুই তিনি করেন। সবসময় টেলিভিশনে মুখ দেখানোর বাতিক তাঁর নেই। চেষ্টা করেন যতটা পারা যায় নেপথে্য থাকতে। যখন প্রয়োজন হয়, তখন মুখ খুলতে কোনওভাবে দ্বিধাগ্রস্ত হন না।
তাহলে, এখন প্রশান্ত কিশোরের লক্ষ্যটা কী? এই একটা প্রশ্নে কিন্তু প্রশান্ত কিশোর ধূসরতার মধ্যে রয়েছেন। এ-ব্যাপারে তিনি প্রকাশ্যে কিছু বলছেন না। অনেকেই বলছেন এবং দিল্লিতেও একটা জোর গুজব আছে যে, প্রশান্ত কিশোর এবার বিহারের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশ নেবেন। যেরকমভাবে, অমিত শাহ-র বিরুদ্ধে মধুর বদলা নিয়েছেন, ঠিক সেইভাবে এইবার নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার ইচ্ছাও তাঁর আছে।
বিহারের বিগত নির্বাচনে, রামবিলাসের পুত্র চিরাগ পাসোয়ানের সঙ্গে তিনি হাত মিলিয়েছিলেন। কিন্তু সাফল্য অর্জন করতে পারেননি। প্রশান্ত কিশোরের হৃদয়ের অন্তঃস্তলে নাকি একটা সুপ্ত বাসনা আছে, কোনও একদিন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার। ‘Think week’- এই আপ্তবাক্যে বিশ্বাস করেন এবং সেদিকে লক্ষ্য রেখেই নাকি তিনি এগচ্ছেন। ওঁকে আগামী দিনে সাহায্য করার জন্য অনেকে এগিয়ে আসতে পারেন, এমন আশা ওঁর আছে। যদিও এ-ব্যাপারে প্রশান্ত কিশোরের কাছ থেকে কোনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায় না। এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও কথা তিনি বলেননি।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু প্রশান্ত কিশোরকে একেবারেই এককথায় ‘টা টা বাই বাই’ করতে রাজি নন। আসন্ন কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের জন্য অতটা প্রয়োজন নেই। তবে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন- স্ট্যালিন, কেজরিওয়াল এবং সমস্ত বিরোধী নেতা, যাঁরা অনেকেই আগে প্রশান্ত কিশোরকে কাজে লাগিয়েছেন, এমনকী, অন্ধ্রপ্রদেশের জগনমোহন রেড্ডি পর্যন্ত- এঁদের প্রত্যেকেরই ইচ্ছা, প্রশান্ত কিশোর এবার জাতীয় স্তরে আসুন। ২০২৪-এ মোদি-বিরোধী, রাজনীতির নীল নকশা তৈরি করুন। শেষ পর্যন্ত মোদি-বিরোধী এই রাজনীতিতে প্রশান্ত কিশোর আসবেন কি আসবেন না- সেই প্রশ্নের উত্তরটা এখনও আমাদের অজানা।