সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘তোমায় ভালবাসি।’ একে-অপরকে এ কথা বলে দিলে আর কোনও বাধাই যেন বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। সাত সমুদ্র তেরো নদী পার করেও পৌঁছে যায় নিজের ভালবাসার কাছে। তেমনই এক প্রেমকাহিনির সাক্ষী রইল উত্তরপ্রদেশ। প্রেমিকের সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করতে সুদূর সুইডেন থেকে উত্তরপ্রদেশের ইতায় উড়ে এসেছেন যুবতী। বিদেশি বধূকে প্রাণ খুলে স্বাগত জানিয়েছে যুবকের পরিবারও।
২০১২ সালে ফেসবুকে আলাপ সুইডেনের ক্রিস্টিন লিবার্ট ও উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) পবন কুমারের। সেই বন্ধুত্বই বদলে যায় ভালবাসায়। ভারচুয়াল দুনিয়াতে ধীরে ধীরে জমে ওঠে প্রেম। সেই ভালবাসার টানেই ৬ হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে যোগীরাজ্যের ইতায় পৌঁছান ক্রিস্টিন। গত শুক্রবার সেই জেলারই এক স্কুলে হিন্দু মতে চারহাত এক হয় পবন ও ক্রিস্টিনের। যুবতীর বাড়ির লোকেরা এই বিয়ে মেনে না নিলেও বিদেশিনীকে মন খুলে আপন করে নিয়েছে পবনের পরিবার।
[আরও পড়ুন: ‘জমি চোর, চোরে-চোরে মাসতুতো ভাই’, TMC অর্মত্য সেনের পাশে দাঁড়ানোয় খোঁচা দিলীপের]
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের সৌজন্যে ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে সুইডিশ কনে ও ভারতীয় বরের বিয়ের নানা মুহূর্তের ছবি। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, লাল লেহেঙ্গা ও ওড়নায় একেবারে ভারতীয় কনে হয়ে উঠেছে ফর্সা টুকটুকে ক্রিস্টিন। মন দিয়ে বিয়ের অন্যান্য আচার-রীতিও পালন করেছেন তিনি। সবুজ শাড়ি পরে অনায়াসে মিশে গিয়েছেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে। ক্রিস্টিনকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে খুশি পবনও।
ক্রিস্টিন জানান, এর আগেও তিনি ভারতে এসেছেন। ভারত তাঁর ভীষণ প্রিয়। আর নিজের ভালবাসার মানুষকে বিয়ে করতে পেরে তিনি উচ্ছ্বসিত। ছেলে ও নববধূর মুখে হাসি দেখে খুশি বরের বাবা গীতম সিংও। তিনি বলেন, “বাচ্চাদের খুশিতেই আমাদের আনন্দ। আমাদের এই বিয়েতে কোনও আপত্তি নেই।”