সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা ৪দিন ধরে একে অপরের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইরান-ইজরায়েল (Israel Iran Conflict)। রবিবার সকাল থেকে শুরু করে সারারাত আকাশপথে হামলা চলেছে। তার জেরে ইরানে মৃতের সংখ্যা অন্তত ২৩০। ইজরায়েলেও ১৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এহেন রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতিতে ইরানের অস্ত্র উৎপাদনকারী ভবন এবং বিদেশমন্ত্রকের ভবনে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। তার জেরে মৃত্যু হয়েছে ইরান রেভোলিউশনারি গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধানেরও। তা সত্ত্বেও শান্তি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসতে নারাজ তেহরান।
শুক্রবার ইরানের সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে আকাশপথে হামলা চালায় ইজরায়েল। তার জেরে মৃত্যু হয়েছে ইরান সেনার চিফ অফ স্টাফ মহম্মদ বাঘেরি, রেভোলিউশনারি গার্ডসের কমান্ডার হোসেন সালামি, ইরানের এমার্জেন্সি কমান্ডের কমান্ডার-সহ একাধিক সেনা আধিকারিকের। পালটা দিয়ে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস ৩’ শুরু করে ইরান। তেল আভিভের একাধিক এলাকায় আছড়ে ইরানের ড্রোন আক্রমণ। তারপর টানা চারদিন ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় কেঁপে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও।
রবিবার মাঝরাত থেকে ফের হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে তেল আভিভ। তার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ইরান রেভোলিউশনারি গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান মহম্মদ কাজেম। ইজরায়েলি সেনার তরফে জানানো হয়, ইরানি সেনা, রেভোলিউশনারি গার্ড এবং কুদস ফোর্সের বেশ কিছু অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পালটা ইরানের দাবি, ইজরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা চালিয়েছে তেহরানে বিদেশমন্ত্রকের ভবনে। তাতে বহু সাধারণ মানুষ জখম হয়েছেন বলেই খবর। সোমবার সকাল থেকে ইজরায়েল লক্ষ্য করে নতুন সালভো মিসাইল ছুড়ছে ইরান। তাই সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে ইজরায়েল প্রশাসন।
টানা চারদিন ধরে সংঘাত চললেও শান্তির পথে হাঁটতে রাজি নয় ইরান। সংঘর্ষের আবহে আমেরিকার সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে আলোচনা বাতিল করে দিয়েছে তারা। আপাতত সংঘর্ষবিরতি নিয়ে আলোচনাতেও তারা নারাজ। তেহরানের স্পষ্ট দাবি, আত্মরক্ষার নামে ইজরায়েল যেভাবে আক্রমণ চালিয়েছে সেটার পালটা জবাব ইরান যতক্ষণ না দিচ্ছে ততক্ষণ সংঘর্ষবিরতি নিয়ে কোনও আলোচনা হবে না। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশকে আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত মেটাতে বলেছেন।
