সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানি মিসাইল হামলায় ইরানে প্রাণহানি ঘটতেই নড়েচড়ে বসল সেদেশের প্রশাসন। জানা গিয়েছে, মিসাইল আছড়ে পড়ার পরেই ইরানে (Iran) নিযুক্ত পাকিস্তানের শীর্ষ আধিকারিককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ইরানের বালোচ অধ্যুষিত এলাকায় মিসাইল হামলা চালায় পাকিস্তান। তার জেরে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে, এই মিসাইল হামলার জন্য পাকিস্তানকে মাশুল গুনতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরানের বালোচ বিদ্রোহীরা।
গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের (Pakistan) জেহাদি ডেরায় মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালায় ইরান। পাকিস্তানের সবথেকে বড় প্রদেশ বালোচিস্তানে জেহাদি সংগঠন জইশ আল আদলের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ইরানের এলিট রেভোলিউশনারি গার্ড। এর পরই বুধবার ‘বালোচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট’ ও ‘বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি’র ছাউনিতে আছড়ে পড়ে পাক ফৌজের ক্ষেপণাস্ত্র।
[আরও পড়ুন: ‘এর মূল্য চোকাতে হবে’, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির]
এই হামলার জেরে প্রাণ হারান ৯ জন। সেই তালিকায় রয়েছে ৪ শিশু ও তিন মহিলা। যদিও তাঁদের কারোওর কাছেই ইরানের নাগরিকত্ব নেই বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। তবে এই হামলার পরে বিবৃতি জারি করা হয় পাক বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। সেখানে সাফ বলা হয়, ইরানের সার্বভৌমত্বকে সর্বতোভাবে সম্মান করে পাকিস্তান। তাই সন্ত্রাসবাদ দমনের লক্ষ্যে একজোট হয়ে কাজ করতেই পারে দুই দেশ।
এই ঘটনার পরই ইরানে নিযুক্ত পাকিস্তানি কূটনীতিককে ডেকে পাঠায় ইব্রাহিম রাইসির প্রশাসন। যদিও ডেকে পাঠিয়ে কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই নিয়ে কোনও তথ্য মেলেনি। উল্লেখ্য, বুধবারই পাকিস্তান থেকে বহিস্কার করা হয় ইরানের রাষ্ট্রদূতকে। সেই সঙ্গে ইরান থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকেও দেশে ফিরে আসতে নির্দেশ দেয় ইসলামাবাদ। সবমিলিয়ে, দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক বিবাদ থামার কোনও লক্ষণ নেই।