সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিজাব বিরোধী আন্দোলনে (Anti-veil protests) উত্তাল ইরান (Iran)। বছর বাইশের মাহসার মৃত্যুই এই আন্দোলনে স্ফুলিঙ্গের কাজ করেছে। যা এখন দাবানলে পরিণত হয়েছে। আন্দোলনের ঢেউয়ের ধাক্কায় ইরান প্রশাসন। এবার আন্দোলনকারীদের এক নতুন উপায়ে প্রতিবাদ করতে দেখা যাচ্ছে। ইসলামিক ধর্মগুরুদের মাথা থেকে পাগড়ি খুলে নেওয়ার পন্থাও নিচ্ছেন তাঁরা। আয়াতুল্লা আলি খামেনেইয়ের মোল্লাতন্ত্রের বিরুদ্ধেই এই প্রতীকী প্রতিবাদ আন্দোলনকারীদের।
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এই ধরনের কীর্তির ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছে, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আন্দোলনকারীরা ছুটে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন ওই ধর্মগুরুদের উপরে। এবং তাঁদের মাথা থেকে পাগড়ি ছিনিয়ে নিচ্ছেন। তারপর কাউকে কাউকে ছুটে পালাতে দেখা গেলেও অনেকেই এমন ভাব করছেন যেন কিছুই করেননি। স্রেফ পাগড়িটি ফেলে দিয়ে অম্লানচিত্তে সেখানেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
[আরও পড়ুন: ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় বিপত্তি, রাহুলের পাশে হাঁটতে হাঁটতে মৃত্যু কংগ্রেস নেতার]
প্রসঙ্গত, বছর বাইশের মাহসা আমিনিকে নীতি পুলিশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। তাতেই অসুস্থ হন তিনি। যদিও পুলিশের দাবি ওই তরুণীকে মারধর করা হয়নি। গ্রেপ্তারের পরে অসুস্থ হন তিনি। আক্রান্ত হন হৃদরোগে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে মাহসার মৃত্যুর পর থেকেই শুরু হয় আন্দোলন। রাজপথে নেমে আসে কাতারে কাতারে মানুষ।
হিজাব পুড়িয়ে, চুল কেটে ইসলামের নামে মহিলাদের শিকলবন্দি করার প্রতিবাদ করা শুরু হয়। কেবল মহিলারাই নন, প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন পুরুষরাও। যদিও দেশজুড়ে প্রবল বিক্ষোভ, আন্দোলনের পরেও থামছে না ইরান সরকার। বিক্ষোভকারীদের থামানোর জন্য আরও কড়া হচ্ছে সে দেশের সরকার। কিন্তু তাতেও যে আন্দোলনের আঁচ কমার এতটুকু চিহ্ন নেই তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে প্রতিনিয়তই। মাহসার মৃত্যুই কি ইরানে মোল্লাতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক? আপাতত সেই প্রশ্নের উত্তর সময়ের গর্ভে।