সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশঙ্কা সত্যি করে ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল আমেরিকা। তেহরানের তিন পারমাণবিক গবেষণাকেন্দ্রে বোমা ছুড়েছে তারা। এর প্রত্যুত্তর হবে ভয়ংকর, সাফ জানালেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। সে দেশের সরকারি প্রচারমাধ্যমের দাবি, প্রতিটি মার্কিন নাগরিক ইরানের টার্গেট। আমেরিকা যে লড়াই শুরু করেছে ইরান তা শেষ করবে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, আমেরিকার সেনাবাহিনী ইরানের ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহানে অবস্থিত তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে ‘সফলভাবে’ হামলা চালিয়েছে। হামলার কথা মেনে নিয়েছে ইরানও। তবে 'শত্রুদের হামলা' ইরানের আণবিক শক্তিধর হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে সে দেশের অ্যাটোমিক এনার্জি অর্গানাইজেশন।
আমেরিকার ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পাজেস্কিয়ান। তাঁর কথায়, "ইহুদি রাষ্ট্র ও তাঁর বন্ধুদের ক্রমাগত হামলার জবাব দেওয়া হবে। সেই প্রত্যুত্তর হবে ভয়ংকর।" দেশের মাটিতে আমেরিকার হামলাকে অপরাধমূলক আচরণ তকমা দিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাঘচি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, "আজ সকালে আমেরিকার আচরণ অত্যন্ত আপত্তিকর। এর সুদূরপ্রসারী প্রতিক্রিয়া হবে। রাষ্ট্রসংঘের প্রতিটি সদস্যর এই ঘটনায় সতর্ক হওয়া উচিত। এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক, বেআইনি এবং অপরাধমূলক আচরণ।"
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের উপস্থাপকের বার্তাকেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল। টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, "এখন থেকে প্রতিটি মার্কিন নাগরিক এবং সেনা কর্মী আমাদের বৈধ লক্ষ্যে পরিণত হবে। এই যুদ্ধ এখনই শুরু হয়েছে, মিস্টার ট্রাম্প। এখন আপনি শান্তির কথা বলছেন? আমরা এমনভাবে জবাব দেব, যাতে আপনি বুঝতে পারেন বেপরোয়া কাজের পরিণতি কতটা ভয়ংকর হতে পারে।" রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের মতকে সে দেশের প্রশাসনের মত হিসেবেই দেখছে আন্তর্জাতিক মহল। আর সেটা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডঙ্কা যে বেজে যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে ইরানের হামলার আশঙ্কায় আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে 'অ্যালার্ট' জারি করা হয়েছে। এদিকে বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালী ইরান বন্ধ করে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা।
