shono
Advertisement

Breaking News

Italy

চার দশকে ভয়াবহ ভূমিকম্প! বিধ্বস্ত ইটালিতে প্রাণরক্ষায় গাড়িতেই রাত্রিযাপন নেপলসের বাসিন্দারা

৪.৪ মাত্রার কম্পনে বিধ্বস্ত নেপলসের তিন শহর। তবে হতাহতের খবর নেই।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 07:02 PM Mar 13, 2025Updated: 07:08 PM Mar 13, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে তখন পূবাকাশ আলো করে উঠছেন সূর্যদেব। সুদূর পশ্চিমের ইটালিতে মাঝরাত্তিরের নীরবতা তখন। আর সেই নীরবতা খানখান করে কেঁপে উঠল ইটালির নেপলস শহর। হুড়মুড়িয়ে ভাঙল বাড়ি-ঘরদোর। রাতারাতি ছাদ হারালেন বাসিন্দারা। ঘুমের মাঝে ৪.৪ মাত্রার ভূমিকম্পের ধাক্কায় দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে সারারাত রাস্তায়, গাড়িতেই কাটালেন তাঁরা। সেসব ছবি আপাতত সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ইটালির আবহাওয়া বিভাগ বলছে, গত ৪০ বছরের মধ্যে এটাই নেপলসের ভয়াবহ ভূমিকম্প। একই কথা জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্বিক সমীক্ষা সংস্থা।

Advertisement

গাড়ির উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে গেলেও তার মধ্যেই রাত কাটালেন বাসিন্দারা।

বৃহস্পতিবার রাত তখন প্রায় দেড়টা। ইটালির নেপলস শহরের বাসিন্দাদের রাতের নিশ্চিন্ত ঘুম ভাঙিয়ে দিল তীব্র কম্পন। রিখটার স্কেলে ৪.৪ মাত্রা ভূমিকম্পে তখন বিধ্বস্ত ইটালির অন্যতম পুরনো জনপদ। নেপলসের পজুওলি শহরে ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার গভীরে কম্পনের উৎস। আর সেখান থেকেই বিপর্যস্ত হয়েছে আশপাশের একাধিক এলাকা। বাড়িঘর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ায় কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই সহায়সম্বলহীন হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ।

কম্পনের প্রাথমিক ধাক্কা সামলে এক মহিলা জানাচ্ছেন, কীভাবে তাঁর বাড়ির একাংশ ধসে পড়েছে। তাঁকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আরেক ব্যক্তি বর্ণনা করলেন, তাঁর গাড়ির কাঁচ ভেঙে যাওয়া সত্ত্বেও সারারাত কীভাবে গাড়ির ভিতরে কাটিয়েছেন। কেউ কেউ বিপর্যয় থেকে বাঁচতে জানলা বেয়ে উঠে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসেছেন। মূলত তিনটি শহর - পজুওলি, বাগনোলি এবং বাকোলি কম্পনে বিধ্বস্ত হয়েছে। বাকোলির মেয়র জোসি জেরার্ডো ডেলা বাসিন্দাদের শান্ত থাকার আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর বার্তা, ''তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ করছে প্রশাসন, ভরসা রাখুন।''

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • চার দশকের মধ্যে ভয়াবহ ভূমিকম্প ইটালির নেপলসে।
  • ৪.৪ মাত্রার কম্পনে বিধ্বস্ত তিন শহর।
  • রাস্তায় নেমে গাড়িতে রাত কাটালেন বাসিন্দারা।
Advertisement