সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূলচক্রী সে। রাষ্ট্রসংঘেও তাকে নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সেই হাফিজ সইদের নাম এবার উঠে এল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলাতেও। হাফিজ ও তার প্রধান স্যাঙাৎ সইফুল্লাই পাকিস্তান থেকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এই হামলা, এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি তেমনই।
এই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে ‘দ্য রেজ়িস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। এই গোষ্ঠী লস্করেরই 'ছায়া-সংগঠন'। যদিও আপাত ভাবে লস্করের প্রভাব এখন উপত্যকায় অনেকটাই ক্ষীণ, তবুও এই ধরনের 'ছায়াদানব'দের নিয়ন্ত্রক হাফিজরাই। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কেবলমাত্র জঙ্গি কার্যকলাপে পোক্ত করে তোলাই নয়, এই ধরনের গোষ্ঠীগুলিকে পরিকাঠামো ও প্রযুক্তিগত সাহায্যও জোগায় হাফিজ।
সূত্রানুসারে, এই নির্দিষ্ট মডিউলটি দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় জম্মু ও কাশ্মীরে। সম্প্রতি সোনমার্গ, বুটা পাথরি ও গান্দেরওয়ালে যে ধরনের জঙ্গি হামলা হয়েছে সবই সেই মডিউলেরই অংশ। ২০২৩ সালের শেষ থেকেই এই ধরনের গোষ্ঠীগুলি সক্রিয় হয়ে ওঠে। আর এদের নেপথ্যে যাবতীয় সহায়তার দায়িত্বে সেই হাফিজই। ফলে এদিনের হামলাতেও আসলে হাফিজেরই প্রভাব থাকতে পারে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মুম্বই হামলার পরেই ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তালিকায় উঠে আসে হাফিজের নাম। রাষ্ট্রসংঘেও তাকে নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। হাফিজের মাথার দাম এক কোটি ডলার ধার্য করেছে আমেরিকা। তবে সূত্রের খবর, পাকিস্তানে বহাল তবিয়তে রয়েছেন হাফিজ সইদ। এমনকী পাকিস্তানে নির্বাচনেও সে দাঁড়াবে এমনটা শোনা যাচ্ছিল। সব মিলিয়ে প্রতিবেশী রীতিমতো জাঁকিয়ে বসে রয়েছে হাফিজ, দাবি তেমনই। এবার সেই জঙ্গি নেতার নামই উঠে এল পহেলগাঁও হামলাতেও।
