shono
Advertisement
Salman Rushdie

সলমন রুশদির হামলাকারীর ২৫ বছরের জেল

ফেব্রুয়ারিতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল হাদি মাতার।
Published By: Biswadip DeyPosted: 08:54 PM May 16, 2025Updated: 08:54 PM May 16, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’-এর লেখক তথা বুকারজয়ী লেখক সলমন রুশদির উপরে হামলায় দোষী সাব্যস্ত হাদি মাতার ২৫ বছরের কারাবাসের সাজা দিল আদালত। গত ফেব্রুয়ারিতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল সে। শুক্রবার নিউ জার্সির চাউটাউকুয়া কাউন্টি আদালত তাকে কারাদণ্ড দিল।

Advertisement

কয়েক মাস আগেই শুরু হয়েছিল বিচার প্রক্রিয়া। রুশদির আইনজীবী দাবি করেন, কোনও সংশয় ছাড়া গায়ের জোরে বারবার ছুরির কোপ মারা হয়েছিল ৭৭ বছরের সাহিত্যিককে। ‘খুনের চেষ্টা’ ও ‘সশস্ত্র হামলা’র অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। অবশেষে মাতারকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। সেই সময় রুশদিকে হামলার মুহূর্তের বর্ণনায় বলতে শোনা যায়, ''আমি বুঝতে পেরেছিলাম রক্তের বিছানায় শুয়ে আছি। দ্রুত আমার চেতনা মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ছিল। চোখে ও হাতে যন্ত্রণা হচ্ছিল। মনে হয়েছিল বুঝি মারাই যাব।'' মাতার রুশদির শরীরে ১৫টি আঘাত করেছিল। মাথা, ঘাড়, বাঁ হাত, চোখ সর্বত্র ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল মুহূর্তে।

প্রসঙ্গত, হামলার দিন নিউ ইয়র্কের চাউটাউকুয়া ইন্সটিটিউশনে ভাষণ দিতে পৌঁছন রুশদি। ঠিক ছিল সেখানে ‘আমেরিকায় শরণার্থী লেখকেরা’ বিষয়ের উপর প্রখ্যাত সাহিত্যিকের সঙ্গে কথা বলবেন সঞ্চালক হেনরি রিস ৷ আলোচনা হওয়ার কথা ছিল আগামী বছর প্রকাশ্যে আসতে চলা রুশদির উপন্যাস ‘ভিকট্রি সিটি’ নিয়েও৷ কিন্তু সে সব অধরাই থেকে যায়৷ মঞ্চে আসতেই তাঁর দিকে তেড়ে যায় এক ব্যক্তি। এই অতর্কিত আক্রমণে স্তম্ভিত হয়ে যান সকলেই। রুশদিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এক চোখের দৃষ্টিশক্তি ও একটি হাত নাড়াচাড়া করার শক্তি হারিয়েও দীর্ঘ চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন রুশদি। ক্রমে জানা যায় হামলাকারীর পরিচয়। অবশেষে তাকে সাজা শোনাল আদালত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’-এর লেখক তথা বুকারজয়ী লেখক সলমন রুশদির উপরে হামলায় দোষী সাব্যস্ত হাদি মাতার ২৫ বছরের কারাবাসের সাজা দিল আদালত।
  • গত ফেব্রুয়ারিতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল সে।
  • শুক্রবার নিউ জার্সির চাউটাউকুয়া কাউন্টি আদালত তাকে কারাদণ্ড দিল।
Advertisement