সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদৌ বেঁচে আছেন মায়ানমারের নোবেল পুরস্কারজয়ী ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী আং সান সু কি (Aung San Suu Kyi)? সম্প্রতি এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁর ছেলে কিম অ্যারিস। তিনি রয়েছেন লন্ডনে। সেখান থেকেই সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের কাছে সংশয় প্রকাশ করে কিম বলেন, দীর্ঘ সময় জনসমক্ষে দেখা যায়নি তাঁর মা-কে। তাঁর প্রশ্ন, ''কী করে বুঝব উনি বেঁচে আছেন?'' এমন মন্তব্যের পরই সু কি-র মৃত্যু ঘিরে গুঞ্জন বাড়ছিল। এবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলল জুন্টা। জানিয়ে দিল, সু কি-র স্বাস্থ্য ভালোই রয়েছে।
আং সান সু কি-র ছেলে কিমকে এর আগে বলতে শোনা গিয়েছিল, ''দু'বছরের বেশি সময় হয়ে গিয়েছে, মা-কে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। পরিবার-পরিজন তো বটেই, এমনকী আইনজীবীরাও দেখা করতে পারেননি। কী করে বুঝব উনি বেঁচে আছেন?'' এরপরই জুন্টা পরিচালিত মায়ানমারের এক সরকারি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে এক বিবৃতি। সেখানে পরিষ্কার দাবি করা হয়েছে, 'আং সান সু কি সুস্থই রয়েছেন।' তবে তারা এমন দাবি করলেও এর সপক্ষে কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি।
রাষ্ট্রদ্রোহ এবং ঘুষ থেকে শুরু করে টেলিকমিউনিকেশন আইন লঙ্ঘন পর্যন্ত নানা অপরাধে নোবেলজয়ী এই নেত্রীকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন আং সান সু কি। ১৯৮৯ সাল থেকে ২০১০ সালের মধ্যে প্রায় ১৫ বছর গৃহবন্দি ছিলেন সু কি। তাঁর হাত ধরেই ২০১০ সালে মায়ানমারে গণতন্ত্র ফিরেছিল।
বিশ্বনেতারা এবং মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেতারা বারবারই সু কি-কে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। কিন্তু দেখতে দেখতে চার বছর পেরিয়ে গেলেও কারাবন্দিই রয়েছেন সু কি। এর আগেও কিম বলেছিলেন, তাঁর মাকে নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে। আর এবার তিনি প্রশ্ন তুলে দিলেন সু কি-র বেঁচে থাকা নিয়েই।
