সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও ব্যর্থ নাসা (NASA)। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেট ‘আর্তেমিস ১’ উৎক্ষেপণের তারিখ প্রথমে ধার্য করা হয়েছিল ২৯ আগস্ট। কিন্তু সেদিন রকেটে ত্রুটি ধরা পড়ায় ঠিক হয় ২ সেপ্টেম্বর উৎক্ষেপণ করা হবে রকেটটি। পরে ঠিক হয়, ৩ সেপ্টেম্বর উৎক্ষেপণ করা হবে রকেটটি। কিন্তু আবারও ব্যর্থ হল অভিযান। পাঁচ দশক পরে ফের চাঁদের মাটিতে নভোচর পাঠাতে চায় আমেরিকা (US)। তারই প্রথম ধাপ এই অভিযান। কিন্তু সেই অভিযান বারবার ঠোক্কর খাওয়ায় অস্বস্তিতে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা।
ঠিক কী সমস্যা দেখা গিয়েছে? জানা যাচ্ছে, আগের দিনের মতো এদিনও রকেটের তরল হাইড্রোজেনের ট্যাঙ্কে ছিদ্র ধরা পড়াতেই বাতিল করা হয় উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে। কাউন্ট ডাউনও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আচমকাই ত্রুটি নজরে আসায় থামিয়ে দেওয়া হয় রকেট। বাতিল করা হয় অভিযান।
[আরও পড়ুন: ‘TET নেবেন না, আত্মহত্যা করব’, নিয়োগ তৎপরতা শুরু হতেই পর্ষদ সভাপতিকে হুমকি উত্তীর্ণদের]
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ‘ডিপ স্পেস এক্সপ্লোরেশন’-এর একেবারে প্রথমদিকের অংশ এই অভিযান। এটি সফল হলে ২০২৪ সালে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠাবে নাসা। তার নীল নকশাও তৈরি। বিশাল এসএলএস রকেট এবং ওরিয়ন স্পেসক্রাফটের সাহায্যে চাঁদের বৃত্তে পৌঁছে যাবেন মহাকাশচারীরা। তারপর সেখান থেকে তাঁরা SpaceX’s Human Lander System (HLS) করে চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধ, যা সর্বদা বরফাবৃত, সেখানে পা রেখে চলাচল করতে পারবেন।
এখন এই অভিযানের আগে প্রস্তুতি হিসেবে আর্তেমিস ১-কে পাঠানো হবে চাঁদে। নাসার লক্ষ্য, চন্দ্রপৃষ্ঠে নতুন প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা। এসএলএস রকেট এবং ওরিয়ন স্পেসক্রাফটের পারফরম্যান্স দেখে এই প্রযুক্তিকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। দেখা হবে, এই দুই যন্ত্রাংশের কার্যকারিতা বিজ্ঞানীদের হিসেবের সঙ্গে মেলে কি না। আগের যে কোনও চন্দ্রযানের তুলনায় ‘আর্টেমিস ১’-এর বেশি দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার কথা। ৪২ দিনে ৬০ হাজার কিলোমিটার। এই অভিযান সফল হলে ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদের মাটিতে নভোশ্চর পাঠাবে নাসা। সেক্ষেত্রে কোনও অ-শ্বেতাঙ্গ মহাকাশচারীকে দেখা যেতে পারে চন্দ্রপৃষ্ঠে। ২০২৫ সালে আবার ফিরবেন তাঁরা। আপাতত সমস্ত নজর ‘আর্তেমিস ১ ১’-এর সাফল্যের দিকে।