সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি ফিল্ড মার্শাল থেকে সেনা সর্বাধিনায়ক বা চিফ অফ ডিফেন্স ফোর্সেস করা হয়েছে আসিম মুনিরকে। কিন্তু তাঁর উথ্থানেই এবার সিঁদুরে মেঘ দেখছেন পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের এক নেতা শফি বুরফাত। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দেশের পরমাণু অস্ত্র সন্ত্রাসবাদীদের হাতে চলে যাচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, শীঘ্রই সেনা শাসনে চলে যেতে পারে পাকিস্তান।
জাতীয়তাবাদী দল 'জয় সিন্ধ মুত্তাহিদা মাহাজ' (জেএসএমএম)-এর চেয়ারম্যান বুরফাত। তিনি পাকিস্তানকে একটি কৃত্রিম, চরমপন্থা-চালিত রাষ্ট্র হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর কথায়, “পাকিস্তানে সিন্ধি, বালোচ এবং পশতুনের মতো জাতিগুলির অবস্থা সঙ্গিন। নিত্যদিন তাদের উপর দমন পীড়ন চলে। গোটা দেশ একটি সেনা কলোনিতে পরিণত হয়েছে। যেখানে শুধু সেনাবাহিনীর কথাই ভাবা হয়। দেশের আপামর জনগণ উপেক্ষিত।” তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সিন্ধু প্রদেশকে শোষণ করছে পাক সরকার। এই প্রদেশের মানুষজনকে অপহরণ করে খুন করা হচ্ছে, চরমে উঠেছে সেন্সরশিপ ব্যবস্থা। শুধু তাই নয়, এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস এবং সিদ্ধু প্রদেশকে অর্থনৈতিকভাবে বঞ্চিত করারও অভিযোগ করেছেন তিনি। এরপরই নাম না করে মুনিরকে আক্রমণ শানিয়ে বুরফাত বলেন, “দেশের পরমাণু অস্ত্র সন্ত্রাসবাদীদের হাতে চলে যাচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, স্বাধীন সিন্ধুদেশের দাবি জানিয়ে নতুন করে অশান্ত হতে শুরু করেছে পাকিস্তান। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। করাচির মাটিতে শোনা গিয়েছে ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’ স্লোগান। আসলে গত ৭ ডিসেম্বর, রবিবার ছিল সিন্ধ সাংস্কৃতিক দিবস। আর সেই উপলক্ষে পথে নামেন বহু মানুষ। মিছিলের নেতৃত্বে ছিল এই ‘জিয়ে সিন্ধ মুত্তাহিদা মাহাজ’ নামের এই সংগঠন। কিন্তু উদযাপন দ্রুত বদলে যায় আন্দোলনে। স্বাধীন সিন্ধুদেশের দাবিতে সোচ্চার হন আন্দোলনকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়েন উন্মত্ত জনতা। পুলিশও পালটা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪৫ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫ জন পুলিশকর্মী।
