সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধ জয়ের মিথ্যে আস্ফালন করলেও বাস্তবে অপারেশন সিঁদুরে ভয়ে কাঁপছিল পাকিস্তান। সম্প্রতি সেই আভাষই মিলল পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির কথায়। শনিবার এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, যুদ্ধ শুরুর পর তাঁকে পরামর্শ দেওয়া হয় হয় বাঙ্কারে লুকিয়ে পড়ার। শুধু তাই নয়, গত ৬ মাস ধরে মিথ্যাচার করার পর পাক বিদেশমন্ত্রী স্বীকার করে নিয়েছেন, ভারতের হামলায় ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল রাওয়ালপিন্ডির নূর খান এয়ারবেস।
২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ ভারতীয়র মৃত্যুর বদলা নিতে ৭ মে অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছিল ভারত। সেই অভিযানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরের একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি। সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘরে ভারতের সেই হামলার পর মুখরক্ষার তাগিদে পালটা হামলা চালায় পাকিস্তান। এরপরই শুরু হয় যুদ্ধ। শনিবার এক সাক্ষাৎকারে সেই আতঙ্কের মুহূর্তের বর্ণনা দিয়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট বলেন, "মে মাসের সেই মুহূর্ত অত্যন্ত ভয়ের ছিল আমাকে বাঙ্কারে লুকিয়ে পড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।"
জারদারির কথায়, "হামলা শুরু হওয়ার পর আমার সামরিক সচিব আমার কাছে এসে বলেন, 'স্যর যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে'। আমিই তাঁকে ৪দিন আগে বলেছিলাম যুদ্ধ শুরু হতে চলেছে। এই অবস্থায় তিনি আমার কাছে এসে বলেন, 'চলুন বাঙ্কারে লুকিয়ে পড়ি'। তবে আমি তাঁকে পালটা জানাই, যদি মৃত্যু আসে তবে তা এখানেই আসবে। নেতারা কখনও বাঙ্কারে লুকিয়ে মরে না। তাঁরা যুদ্ধের ময়দানে লড়াই করে মরে।"
আতঙ্কের অবশ্য এখানেই শেষ নয়, দীর্ঘ ৭ মাস পর অবশেষে শনিবার পাক বিদেশমন্ত্রী তথা উপ-প্রধানমন্ত্রী ইশক দার স্বীকার করে নিয়েছেন ভারতের হামলায় ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাওয়ালপিন্ডির নূর খান এয়ারবেস। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, "নূর খান ঘাঁটিতে বড়সড় হামলা চালিয়েছিল ভারত। এই হামলায় সামরিক স্থাপনা ভীষণভাবে ক্ষয়তিগ্রস্ত হয়। সেখানে থাকা কর্মীরা আহত হন। ৩৬ ঘন্টায় কমপক্ষে ৮০টি ড্রোন পাঠানো হয়। যার মধ্যে ৭৯টি ড্রোন হামলা আমরা রুখে দিই।" অবশ্য শুরু থেকে পাক সেনার দাবি ছিল ভারতের হামলায় কোনও ক্ষতি হয়নি নূর খানের। এবার সেই দাবি থেকে কিছুটা হলেও পিছু হঠল তারা। যদিও ক্ষয়ক্ষতি ঠিক কতটা হয়েছিল সে ছবি সিঁদুরের পর গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছিল ভারত।
