সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু যুবক দীপু দাস হত্যাকাণ্ডে এবার মুখ খুলল আমেরিকা। ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য রো খান্না। তাঁর কথায়, “বাংলাদেশে হিন্দু যুবককে হত্যার (Bangladesh Hindu Lynching) ঘটনা ভয়াবহ। ধর্মের প্রতি অন্ধ হয়েই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।”
সংবাদমাধ্যমে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রো বলেন, “আমেরিকা দ্ব্যর্থহীনভাবে সকল ধরণের ধর্মীয় সহিংসতাকে নিন্দা করে। বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সেদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাকে আমরা স্বাগত জানাই।”
ময়মনসিংহের মোকামিয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা দীপু গত দু’বছর ধরে ভালুকার একটি কারখানায় কর্মরত ছিলেন। গত ১৮ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ কারখানায় হঠাৎ একদল বিক্ষোভকারী চড়াও হন। চলে ভাঙচুর। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, টেনে হিঁচড়ে কারখানার বাইরে বের করে আনা হয় দীপুকে। তারপর গণপিটুনি দেওয়া হয় তাঁকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দীপুর। এরপর তাঁর দেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নিয়ে যায় বিক্ষুব্ধ জনতা। গাছে বেঁধে ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। সঙ্গে চলে স্লোগান। সূত্রের দাবি, ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরেই খুন করা হয়েছে দীপুকে। কিন্তু সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সম্প্রতি একটি সংবাদিক বৈঠকে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ কোম্পানির কমান্ডার মহম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, “নিহত ব্যক্তিকে ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর কোনও করতে কেউ শোনোননি।তিনি সমাজমাধ্যমেও কিছু লেখেননি। এদিন রাতে একদল বিক্ষোভকারী কারখানায় বাইরে চড়াও হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে কারখানার অন্যান্য শ্রমিকরাই দীপুকে উন্মত্ত জনতার তুলে দেন।” তিনি আরও বলেন, “কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, যুবককে কারখানার ভিতরেই কয়েকজন মারধর করছিলেন। বাইরে পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত হয়, তখন তাঁরা দীপুকে উন্মত্ত জনতার হাতে তুলে দেন।”
