Russia-Ukraine Conflict: যুদ্ধ থামিয়ে আলোচনায় রাজি রাশিয়া-ইউক্রেন দু’পক্ষই! কিন্তু কোন শর্তে?

07:58 PM Feb 25, 2022 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধের আগুনে পুড়ছে ইউক্রেন (Russia-Ukraine Conflict)। দ্বিতীয় দিনে পা রেখেছে রাশিয়ার আক্রমণ। রাজধানী কিয়েভ থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে পুতিন বাহিনী। রাষ্ট্রকে বাঁচাতে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেন বাহিনীও। বিশাল বাহিনীর সামনে একাই লড়াই করছে ইউক্রেন। এমন পরিস্থিতিতে আলোচনার প্রস্তাব দিল মস্কো। তবে শর্তও রাখল তারা। তার আগে অবশ্য ইউক্রেনের তরফেও আলোচনার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত অস্ত্র ছেড়ে আলোচনার টেবিলে বসবে দুই দেশ, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।

Advertisement

শুক্রবার রাশিয়ার (Russia) বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানান, “রাশিয়া আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি। তবে তার আগে ইউক্রেন সেনাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে।” ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে, ইউক্রেন আলোচনায় রাজি থাকলে মস্কো প্রতিনিধি দল পাঠাতে রাজি। বেলারুশের মিনস্কে হতে পারে আলোচনা। মস্কোর শর্তে কি রাজি হবে কিয়েভ (Kiev), সেটাই এখন লাখ টাকা প্রশ্ন।

 

Advertising
Advertising

[আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে কী মত ভারতের কমিউনিস্টদের? বিবৃতি দিল সিপিএম]

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে প্রত্যাঘাতের বার্তা দিয়েছিলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। এমনকী, দেশবাসীকেও প্রয়োজনে হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন। রুশ যুদ্ধবিমানে হামলাও চালিয়েছিল তারা। হামলা ঠেকাতে প্রতিরোধ গড়ছিল কিয়েভ। কিন্তু তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। কার্যত রাশিয়ার সামনে খড়কুটোর মতো ভেঙে পড়েছে ইউক্রেনের রক্ষণ। তার পরই কার্যত সুর নরম করেছেন জেলেনস্কি।

এদিন জেলেনস্কি বলেন, “আগে হোক বা পরে রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে। কীভাবে এই যুদ্ধ থামবে, সেই সমাধান সূত্র নিয়ে বৈঠক করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি আলোচনা শুরু হবে, ততই রাশিয়ার মঙ্গল।” দ্রুত আলোচনা শুরু হলে রাশিয়ারই কম ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। যুযুধান দু’পক্ষের গলায় আলোচনার সুর শুনে কিছুটা আশ্বস্ত হচ্ছে বিশ্ববাসী। তবে সমঝোতার টেবিলে পৌঁছানোর পথে সবচেয়ে বড় কাঁটা রাশিয়ার চাপানো শর্ত, এককথায় সকলেই মানছে সেটা।

[আরও পড়ুন: হাতে নয়, ভাতে মারার চেষ্টা, রাশিয়ার উপর একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা চাপালেন বাইডেন]

Advertisement
Next