সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেশ কিছু বছর ধরেই পাকিস্তানে (Pakistan) সংখ্যালঘু হিন্দু মেয়েদের জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করানোর অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে (International Human Rights Day) পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের (Sindh Province) বিভিন্ন শহরে এরই প্রতিবাদ মিছিল করলেন সেদেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সংখ্যালঘুরা। শুক্রবার জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ (Forced Conversion) নিয়ে সরব হলেন তাঁরা।
গতকাল সিন্ধ প্রদেশের হায়দরাবাদ (Hyderabad) শহরের প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ দেখান খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ। ফোর্সড কনজারভেশন বিল প্রত্যাহার-সহ অন্যান্য ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। প্রতিবাদে মিছিলে শামিল হন রাফা প্রেয়ার মিনিস্ট্রি ইন্টারন্যাশনালের সদস্যরা। অন্য একটি বিক্ষোভে রাষ্ট্রীয় দমন পীড়নের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখান জিয়ায় সিন্ধ কুয়ামি মহাজ গোষ্ঠী।
হায়দরাবাদ, মিরপুর মাথেলো ও মোরির মিছিল থেকে দাবি ওঠে, বছরের পর বছর ধরে জেল আটকে রাখা সিন্ধি জাতীয়তাবাদী নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। তাঁদের অভিযোগ, বহু সিন্ধি নেতা ও বুদ্ধিজীবীদের তুলে নিয়ে গিয়েছে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার লোকেরা। তাঁদের অনেককেই খুন করা হয়েছে, কেউ কেউ এখনও জেলবন্দি রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকে বিধ্বংসী টর্নেডোয় মৃত অন্তত ৫০, কেনটাকিতে জারি জরুরি অবস্থা]
জাকোবাবাদের (Jacobabad) সংখ্যালঘুদের একটি প্রতিবাদ মিছিলেও জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হয় এদিন। এই মিছিলটিও শেষ হয় স্থানীয় প্রেস ক্লাবের সামনে। মিছিলে শামিল হওয়া স্থানীয় জওয়াহির সিং, নিউটন আলিয়াস টনি, শালো রাম, লছমন দাসদের অভিযোগ, জাকোবাবাদ ও সংলগ্ন এলাকায় জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণের ঘটনা সাম্প্রতিককালে বেড়েই চলেছে। পাকিস্তানের অন্যতম সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, সম্প্রতি এক হিন্দু নাবালক-নাবালিকার মধ্যে প্রেম হয়, এরপর জোরপূর্বক তাদের ধর্মান্তকরণ করা হয়েছিল। এদিন সেই ঘটনারও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিন্ধি প্রদেশের সংখ্যালঘুরা।
[আরও পড়ুন: স্বামীর দেহ টুকরো টুকরো করে তার পাশেই নিশ্চিন্তে ঘুম স্ত্রীর, ফ্ল্যাটে ঢুকে হতবাক পুলিশ]
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেও সিন্ধি প্রদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু তরুণীদের অপহরণ করে জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হন মিলান আবদুল খালিক ওরফে মিয়ান মিঠু নামের এক মৌলবী। যিনি আবার পাকসেনার খুবই ঘনিষ্ঠ। অভিযুক্ত মিয়ান মিঠু মৌলবীর নামে প্রথম অভিযোগ উঠেছিল ২০১২ সালে। সেই সময় রিঙ্কলে কুমারী নামে এক হিন্দু তরুণীর নাম প্রকাশ্যে এসেছিল। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০০ হিন্দু মেয়ের ধর্ম পরিবর্তনের অভিযোগ রয়েছে মিঠুর বিরুদ্ধে। কিন্তু পাকিস্তানের কোনও থানায় তাঁর নামে FIR পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়নি।