সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূর্বঘোষণা মতো এবার বিদেশদপ্তরে গণছাঁটাইয়ের পথে হাঁটল ট্রাম্প সরকার। একযোগে ছাঁটাই করা হল ১৩৫০ জনকে। তবে এটাই শেষ নয় ভবিষ্যতে আরও কর্মীকে ছাঁটাই করা হতে পারে বলে আভাষ দিয়েছে মার্কিন সরকার। ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে ব্যাখ্যা দিয়ে জানানো হয়েছে, কেন এই ছাঁটাই।
গত বৃহস্পতিবারই বিদেশদপ্তরের সহকারি সচিব মাইকেল জে রিগাস জানিয়েছিলেন, তাঁর দপ্তরে বড়সড় ছাঁটাই হতে পারে। সেইমতো সিভিল সার্ভিস ও বিদেশ দপ্তরের ১৩৫০ জন কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্তের চিঠি পাঠানো হয়। সেই নোটে জানানো হয়েছে, কূটনৈতিক ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে এবং বিদেশদপ্তরের অভ্যন্তরিক কাজকে সহজ করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এটাই শেষ নয়, দপ্তরের যে সব বিভাগের প্রয়োজনীয়তা তুলনামূলকভাবে কম সেখানকার কর্মীদের উপর আবারও ছাঁটাইয়ের খাঁড়া নেমে আসতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্পের প্রথম লক্ষ্য ছিল সরকারের ব্যয় সংকোচ। সেই লক্ষ্যে একাধিক দপ্তর থেকে বহু কর্মীকে ছাঁটাই করে ট্রাম্প সরকার। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে দায়ের হয় মামলা। এরপর ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রায় দেয় নিম্ন আদালত। ছাঁটাইয়ের উপর দেওয়া হয় স্থগিতাদেশ। সাম্প্রতিক সময়ে নিম্ন আদালতের সেই রায় খারিজ করে দিয়েছে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। যার ফলে ছাঁটাইয়ের পথে আর কোনও বাধা নেই। শীর্ষ আদালতের রায় আসার পরই এবার পদক্ষেপ শুরু করল হোয়াইট হাউস।
যদিও এবিষয়ে মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিয়ো জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ ব্যয় সংকোচের জন্য নয়, আমলাতন্ত্রের জটিলতা কমাতে ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দিতেই এই ছাঁটাই। বর্তমানে মার্কিন বিদেশ দপ্তরে কাজ করেন ১৮ হাজার কর্মী। অনুমান করা হচ্ছে এর মধ্যে অন্তত ৩ হাজার কর্মী পড়তে পারেন ছাঁটাইয়ের জাঁতাকলে।
