সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনের নাম আগেই জড়িয়ে গিয়েছিল। তাঁরা একসময় ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেই দাবি। পরবর্তী সময়ে সামনে এসেছে আরও অনেকের নাম। এবার এপস্টেইন এস্টেট থেকে হাউজ ওভারসাইট কমিটির ডেমোক্র্যাটদের প্রকাশিত নতুন কিছু ছবিতে ট্রাম্পের পাশাপাশি দেখা গেল প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন, মাইক্রোসফটের যুগ্ম প্রতিষ্ঠাতা ধনকুবের বিল গেটস ও ট্রাম্প প্রথম বার মসনদে থাকাকালীন হোয়াইট হাউজের প্রধান কৌশলবিদ হিসাবে কাজ করা স্টিভ ব্যানন-সহ আরও অনেককেই।
এঁদের অনেকের সঙ্গেই এপস্টেইনের সম্পর্কের কথা আগেই জানা গিয়েছে। এবার এই নতুন ১৯টি ছবি থেকে আরও অনেক তথ্য জানা যেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে যা জানা যাচ্ছে, আপাত ভাবে এই ছবিগুলি থেকে এই ব্যক্তিদের কোনওরকম বেআইনি কাজ করতে দেখা যাচ্ছে না। সব ছবিই কোনও না কোনও অনুষ্ঠানের। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের দাবি, কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়া মানেই সেই ব্যক্তিরা কোনও অন্যায় করেছেন- এমন ধারণা করে নেওয়া যায় না।
এই ছবিগুলির মধ্যে আলাদা করে নজর কাড়ছে এক সাদা-কালো ছবি। সেখানে রয়েছেন ট্রাম্প। বহু মহিলার সঙ্গে তিনি দাঁড়িয়ে রয়েছেন। যদিও মহিলাদের মুখগুলি ঢেকে দেওয়া কালো রঙে। আরেকটি ছবিতে এক অনুষ্ঠানে এপস্টেইনের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে মহিলার মুখটিও ঢাকা।
গত ৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন হাউসের ওভারসাইট কমিটির ডেমোক্র্যাটরা প্রকাশ করেন জেফ্রি এপস্টিনকে লেখা যৌনগন্ধী চিঠি, যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষর রয়েছে। যদিও এই চিঠি লেখার কথা অস্বীকার করেন ট্রাম্প। এমনকী প্রথমবার চিঠিটি প্রকাশ করা ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এর বিরুদ্ধে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেন। ওয়াল স্ট্রিট প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ২০০৩ সালে এপস্টেইনের ৫০তম জন্মদিনে অনেকেই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ট্রাম্পও। তিনি যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তাতে একটি নগ্ন নারীর ছবি আঁকা ছিল।
এপস্টেইন ছিলেন এক বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তাঁর বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৪০ জন মহিলা যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছিলেন। ধর্ষণ ও নাবালিকা পাচারের ঘটনায় অভিযুক্ত এপস্টেইন মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর ৪৫ বছরের কারাদণ্ড হত। তার আগেই আত্মহত্যা করেন তিনি।
