সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সঙ্গে রেখেই 'সুপারক্লাব' গড়তে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই অক্ষে থাকছে রাশিয়া, চিন এবং জাপানও। এমনই গুঞ্জন ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে।
যদিও এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও কোনও বিবৃতি জারি হয়নি। এই পাঁচ দেশেরও তরফেও কোনও আনুষ্ঠানিক বার্তা মেলেনি। তবে আমেরিকার সংবাদমাধ্যম 'পলিটিকো' তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে, হোয়াইট হাউস সম্প্রতি জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তার সূত্রেই এই গুঞ্জন জোরালো হয়েছে। গুঞ্জন হল, ভারত, রাশিয়া, চিন এবং জাপানকে সঙ্গে নিয়ে 'পঞ্চঅক্ষ' (C-5 Group) গড়তে চাইছে ওয়াশিংটন। যার নাম দেওয়া হতে পারে 'সি-ফাইভ' বা 'কোর ফাইভ'। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই ট্রাম্পের পঞ্চঅক্ষে পাকিস্তানের না থাকা নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে। আন্তর্জাতিক রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের মত, বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত অর্থনৈতিক গোষ্ঠী ‘জি৭’-এর গুরুত্ব কমাতেই এই অক্ষ গড়ার চেষ্টা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই মোদি এবং ট্রাম্পের মধ্যে কথা হয়েছে ফোনে। পরে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আপাতত জটিলতা কাটিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে ‘উষ্ণ ও সম্পৃক্ত’ আলোচনা হয়েছে। ন্ধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অত্যন্ত উষ্ণ ও সম্পৃক্ত আলোচনা হয়েছে। আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছি এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছি। বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য ভারত ও আমেরিকা এক সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।"
ভারতের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পর থেকে ট্রাম্প খোলাখুলি ভাবে পাকিস্তানি সেনার সঙ্গে প্রকাশ্য সখ্য বাড়িয়েছিলেন। ভারতকে প্রবল অস্বস্তিতে ফেলে প্রায় ষাট বার ট্রাম্প দাবি করেছেন, তাঁর মধ্যস্থতাতেই ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বন্ধ হয়েছে। যদিও ভারত তা অস্বীকার করেছে। এ সবের জেরে পরিস্থিতি এমন দিকে গড়ায় যে, গত চার মাসে বিশ্বের একাধিক জায়গায় আমন্ত্রণ সত্ত্বেও যাননি মোদি। কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের অভিযোগ, ওই সব জায়গায় ট্রাম্প থাকাতেই মোদি সেখানে যায়নি। কারণ মোদিকে পাশে বসিয়ে ট্রাম্প কী বলবেন, তার কোনও পূর্বাভাস করা সম্ভব নয় সাধারণ কূটনীতিতে। তার মধ্যে ভারতীয় পণ্যে ট্রাম্প ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোয় দু'দেশের মধ্যে টানাপড়েন আরও বেড়েছে। যদিও আবার বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটন। তার মাঝেই মোদিকে ট্রাম্পের ফোনে জল্পনা তৈরি হয় বিভিন্ন মহলে। যদিও ওই ফোনালাপে 'সি-ফাইভ' নিয়ে কথা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। সে ব্যাপারে দুই রাষ্ট্রনেতার কেউই আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানাননি।
