সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ট্রাম্পের পুনরাগমনের পর বদলে গিয়েছে মার্কিন রাজনীতি। রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ককে উন্নত করে তুলতে আগ্রহী আমেরিকা। এই পরিস্থিতিতে 'সিঁদুরে মেঘ' দেখছে ইউক্রেন। সবচেয়ে বড় কথা, কিয়েভের জন্য সমস্ত সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে ওয়াশিংটন। ফলে আপাতত বিশ বাঁও জলে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের সংসদীয় বিদেশ বিষয়ক কমিটির প্রধান ওলেকসান্দ্র মেরেজকো বলেছেন, ''সাহায্য পাঠানো বন্ধ করার অর্থই হল পুতিনকে সাহায্য করা। এই পরিস্থিতিতে এটা পরিষ্কার উনি চাইছেন আমাদের আত্মসমর্পণের দিকেই ঠেলে দিতে অর্থাৎ রাশিয়ার দাবি মেনে নিতে।'' সেই সঙ্গেই তাঁর মতে, ''এই পদক্ষেপের সবচেয়ে বড় দিক হল মানসিক আঘাত। ইউক্রেনের উপরে রাজনৈতিক ধাক্কা।'' ১৯৩৮ সালের মিউনিখ চুক্তির সঙ্গেও তিনি এই বিষয়টির তুলনা করেন, যে চুক্তিতে নাৎসি জার্মানিকে চেকোস্লোভাকিয়ার কিছু অংশ সংযুক্ত করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। মেরেজকো বলছেন, ''এটা মিউনিখের চেয়েও খারাপ। কেননা সেক্ষেত্রে অন্তত চেকোস্লোভাকিয়াকে আক্রমণকারী হিসেবে দেগে দেওয়া হয়নি। এখানে তো আক্রান্তদেরই হামলাকারী বলা হচ্ছে। এটাই সবচেয়ে বিপজ্জনক।''
প্রসঙ্গত, তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই জেলেনস্কিদের পাশে ছিল আমেরিকা। দেশে আর্থিক সমস্যা সত্ত্বেও একাধিকবার ইউক্রেনের জন্য নানারকম সাহায্যের ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই সহায়তা নিয়ে ওয়াশিংটনের অন্দরেই চরম অসন্তোষ তৈরি হয়। ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর একাধিক দেশে মার্কিন অনুদান বন্ধ করে দেন। কিন্তু ইউক্রেনের প্রতি সাহায্য বহাল ছিল। এবার ইউক্রেন-আমেরিকার খনিজ চুক্তির সম্ভাবনা নাকচ হয়ে যেতেই ট্রাম্প কিয়েভের প্রতি সম্পূর্ণ খড়গহস্ত হয়ে উঠেছেন। তবে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, এখনও জেলেনস্কি সুর নরম করলে হয়তো পরিস্থিতি বদলাতে পারে।
