সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে পিএনবি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত নীরব মোদির (Nirav Modi) প্রত্যর্পণে সবুজ সংকেত পেয়ে গেল ভারত। ব্রিটিশ আদালতের অনুমতির পর সেদেশের সরকার কোটি কোটি টাকার ঋণখেলাপিতে অভিযুক্ত এই অলঙ্কার ব্যবসায়ীকে ভারতে প্রত্যর্পণের অনুমতি দিয়ে দিল। যার অর্থ এবার সিবিআই চাইলেই নীরবকে দেশে ফেরাতে পারবে। যা কেন্দ্রের মোদি সরকারের বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হবে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই নীরবকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে সায় দিয়েছিল লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্ট। বিচারক স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভারতীয় বিচারব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত ওই ব্যবসায়ীকে। তারপর থেকেই ব্রিটেনের মুখ্য সচিবের অনুমতির অপেক্ষায় ছিল ভারত। শুক্রবার তিনি নীরবকে ফেরানোর ব্যাপারে সবুজ-সংকেত দিয়ে দেওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে ফেরার এই ব্যবসায়ীকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে সিবিআই। সব ঠিক থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই দেশে ফেরানো হবে কয়েক হাজার কোটির কেলেঙ্কারিতে যুক্ত এই হীরে ব্যবসায়ীকে। বাংলার ভোট চলাকালীন নীরবের প্রত্যর্পণে সম্মতি কেন্দ্রের মোদি সরকারের জন্য প্রচারের অস্ত্র হতে পারে। মজার কথা হল, ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে একইভাবে ভারত সরকার বিজয় মালিয়ারও প্রত্যর্পণের অনুমতি পেয়েছিল। কিন্তু আইনি মারপ্যাঁচে আজও তাঁকে দেশে ফেরানো যায়নি।
[আরও পড়ুন: ‘তালিবানকে মদত দিচ্ছে পাকিস্তান’, ইসলামাবাদকে তুলোধোনা করলেন মার্কিন সেনেটর]
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ লন্ডনের একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন নীরব মোদি। ভারত তাঁর পাসপোর্ট আগেই বাতিল করে দিয়েছিল। কিন্তু গ্রেপ্তারির পর দেখা যায় নীরবের হেফাজতে একাধিক পাসপোর্ট রয়েছে। একটি যেমন মেট্রোপলিটন পুলিশের হেফাজতে। আর একটি মেয়াদ উত্তীর্ণ পাসপোর্ট ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে জমা আছে। তৃতীয় একটি রয়েছে দেশের ড্রাইভিং ও ভেহিক্যালস লাইসেন্স দপ্তরে। তাছাড়া নীরবের কাছে একাধিক রেসিডেন্সি কার্ড রয়েছে। যার মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ে থাকার অনুমতি রয়েছে।