সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ড্রোন হামলা চালিয়ে রাশিয়াকে ঘোল খাইয়েছে ইউক্রেন! সামান্য এক লাখি 'মারণাস্ত্র' মাত দিয়েছে কোটি-কোটি টাকার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে। কীভাবে নিঃশব্দে রাশিয়ার আকাশে ঢুকে পড়ল ড্রোনের ঝাঁক? এমন কোন বিশেষত্ব আছে এই আত্মঘাতী ড্রোনে যে নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হল?
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল ফুটেজে দেখা গিয়েছে কন্টেনার থেকে উড়েছিল ড্রোনের ঝাঁক। চেষ্টা করেও তাদের রোখা যায়নি। ইউক্রেনের দাবি, টিইউ-৯৫, টিইউ-২২এম এবং এ-৫০-র মতো রাশিয়ার ৪১টি বোমারু বিমানে আঘাত হেনেছে তাদের ড্রোনের ঝাঁক।
কী এই এফপিভি ড্রোন?
পুরো নাম 'ফার্স্ট পার্সন ভিউ'। আকারে ছোট। সামনে রয়েছে বিশেষ ক্যামেরা। যা রিয়েল টাইম ভিডিও পাঠায় নিয়ন্ত্রক বা অপারেটর-কে। ড্রোন অপারেটরের চোখে থাকে বিশেষ চশমা। মনে হবে, অপারেটর খোদ বসে রয়েছেন ড্রোনের ককপিটে। স্পল্প পরিসরেও যেন কার্যকরী এই আত্মঘাতী ড্রোন তেমনই আবার অমসৃণ মাটিতেও চলতে সক্ষম সে। প্রথমে খেলার ছলেই তৈরি হয়েছিল 'ফার্স্ট পার্সন ভিউ' ড্রোন। বর্তমানে যা শত্রু শিবিরে আঘাত হানতেও ব্যবহৃত হচ্ছে।
কীভাবে কাজ করে ড্রোন?
ছোট্ট ড্রোনের পেটে পুরে দেওয়া হয় বিস্ফোরক-গ্রেনেড বা আইইডি। তারপরই উড়ে যায় সে লক্ষ্যে আঘাত হানতে। টার্গেট খুঁজে নেয় সে। ঠিক সেইসময় অপারেটরের চোখের সামনে দেখতে পায় ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে ড্রোনটি। তারপরই নির্দেশমতো এফপিভি ড্রোন লক্ষ্যবস্তুতে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়।
ড্রোনের বিশেষত্ব
আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারদর্শী
রিয়েল টাইমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়
রাডারকে ফাঁকি দিতে সক্ষম
ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে খরচ কম
লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম
খরচ
ভারতীয় মুদ্রায় ৫০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা দাম। বিভিন্ন বেসরকারি গ্রুপ বানায়। তবে সম্প্রতি প্রায় ৪৫ লক্ষ ড্রোন কিনেছে সরকার।
