shono
Advertisement
Canada

'কোনওদিন আমেরিকার অংশ হব না', শপথগ্রহণে ট্রাম্পকে হুঙ্কার কানাডার নয়া প্রধানমন্ত্রীর

কয়েকদিন আগেই কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন মার্ক কারনি।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 08:51 AM Mar 15, 2025Updated: 12:13 PM Mar 15, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের মসনদে বসে কানাডাকে আমেরিকার ৫১তম প্রদেশ হিসেবে গড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর থেকে প্রতিবেশী দেশের উপর একের পর এক শুল্ক চাপানোরও ঘোষণা করেছেন তিনি। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টের কোনও হুঁশিয়ারিকেই যে তিনি পাত্তা দেন না তা ফের একবার প্রমাণ করলেন মার্ক কারনি। কানাডার নয়া প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই ট্রাম্পকে পালটা হুঙ্কার দিলেন তিনি। মসনদে বসে প্রথম দিনই সাফ জানিয়ে দিলেন, কানাডা কোনও দিন আমেরিকার অংশ হবে না। 

Advertisement

কয়েকদিন আগেই কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন মার্ক কারনি। লিবারেল পার্টির নেতা হিসাবে তাঁকেই বেছে নিয়েছেন দলের সদস্যরা। জাস্টিন ট্রুডোর উত্তরসূরি নির্বাচিত হয়েই তিনি একহাত নিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এই মুহূর্তে আমেরিকার সঙ্গে ‘শুল্কযুদ্ধে’ জড়িয়েছে কানাডা। একের পর এক পণ্যের উপর অতিরিক্ত কর চাপানো নিয়ে কড়া ভাষায় তিনি আক্রমণ করেছিলেন ট্রাম্পকে। গতকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে কানাডার ২৪তম প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন কারনি। শপথগ্রহণের সময়ই তাঁকে বলতে শোনা যায়, "যাই হয়ে যাক না কেন, কোনও পরিস্থিতিতেই কানাডা আমেরিকার অংশ হবে না। কোনওদিনও না। আমার আশা, পারস্পরিক স্বার্থের জন্য আগামী দিনে হয়তো দু'দেশ এক সঙ্গে কাজ করতে পারে।"

ট্রাম্প দ্বিতীয়বার আমেরিকার ক্ষমতা দখলের পর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে হোয়াইট হাউসের বিদেশনীতি পালটে ফেলেছেন। কানাডার সঙ্গে টানাপোড়েন বেড়েছে ওয়াশিংটনের। গত জানুয়ারি মাসে ইস্তফা দেন কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্র জাস্টিন ট্রুডো। তখনই ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, "কানাডার জনগণ চান তাঁদের দেশ যেন আমেরিকার ৫১তম অঙ্গরাজ্য হয়ে ওঠে। কানাডাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যে বিরাট বাণিজ্য ঘাটতি এবং ভর্তুকি দেওয়া দরকার তা আমেরিকা আর সহ্য করতে পারে না। জাস্টিন ট্রুডো এটি জানেন এবং সেই জন্যই তিনি পদত্যাগ করেছেন। কানাডা যদি আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত হয় তাহলে তাদের কোনও বাণিজ্য শুল্ক দিতে হবে না। করের পরিমাণ অনেক কমে যাবে। এছাড়া চিন ও রাশিয়ার জাহাজ কানাডাকে সর্বদা ঘিরে রাখে। আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত হলে পূর্ণ নিরাপত্তা পাবে কানাডা। একত্রে আমরা এক মহান দেশ হয়ে উঠব।" কিন্তু ট্রাম্পের এই প্রস্তাব তখন নাকোচ করেছিলেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। তারপরই কানাডার উপর অতিরিক্ত কর আরোপের ঘোষণা করেন ট্রাম্প।

এবার কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেই প্রস্তাব কারিজ করলেন কারনি। এর আগে নির্বাচন জেতার পর প্রথম ভাষণে ট্রাম্পকে তোপ দেগে তিনি বলেছিলেন, “আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্প ফেরায় কালো দিন শুরু হয়েছে। তিনি কানাডার অর্থনীতিকে দুর্বল করে দেওয়ার জন্য় অযৌক্তিক শুল্ক চাপাচ্ছেন। কিন্তু আমি প্রতিজ্ঞা করছি তাঁর এই উদ্দেশ্য সফল হতে দেব না। আমরা নির্ভরযোগ্য বাণিজ্যিক অংশীদারদের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলব এবং আমাদের সীমান্ত সুরক্ষিত করব। আমরা প্রতিশোধ নেব। পালটা শুল্ক আরোপ করব। যার সর্বোচ্চ প্রভাব আমেরিকার উপর পড়বে। ওরা যদি আমাদের সম্মান দেখায় তাহলেও আমাদের শুল্ক বহাল থাকবে। কানাডা কখনই যুদ্ধকে আহ্বান জানায় না। কিন্তু কেউ যদি সেটা চায় তাহলে জয় আমাদেরই হবে।” ফলে আমেরিকার কোনও ধমকানো-চমকানোয় যে কানাডা কোনও পরোয়া করছে না গতকাল ফের একবার তা স্পষ্ট করলেন কারনি। বুঝিয়ে দিলেন পালটা দিতে তিনিও প্রস্তুত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ফের মসনদে বসে কানাডাকে আমেরিকার ৫১তম প্রদেশ হিসেবে গড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
  • কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টের কোনও হুঁশিয়ারিকেই যে তিনি পাত্তা দেন না তা ফের একবার প্রমাণ করলেন মার্ক কারনি।
  • মসনদে বসে প্রথম দিনই সাফ জানিয়ে দিলেন, কানাডা কোনও দিন আমেরিকার অংশ হবে না। 
Advertisement