সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অফিস আর সহকর্মীদের কোনও মতেই হেলাফেলা করা যায় না! ওখানেই যে দিনের মধ্যে সব চেয়ে বেশি সময় কাটাই আমি, আপনি- সবাই!
হ্যাঁ, ব্যতিক্রম যে থাকে না, এমন নয়। সব অফিসেই এমন সহকর্মী থাকেন, যিনি দলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে জানেন না। নিজের ইগো আর অতিরিক্ত সবজান্তা ভাবের জন্য পরিবেশটা দুর্বিষহ করে তোলেন সবার পক্ষেই!
এই গোত্রটা বাদ দিলে কিন্তু এমন সহকর্মীও আছেন, যিনি বন্ধুর মতো আপনার পাশে থাকেন। কখনও কখনও সেটা বন্ধুত্ব পেরিয়ে চলে যায় ভালবাসার কোর্টে।
যখন সেটা হয়, তখন স্পষ্ট বুঝতে পারা যায়। কিন্তু, এমন কেউ যদি থাকেন অফিসে, যিনি আপনাকে গোপনে ভালবেসে ফেলেছেন?
থাকতেই পারেন! তাই একটু খুঁটিয়ে চোখ রাখুন পরের ছয়টি বক্তব্যে। তাহলেই টের পাবেন, কোনও সহকর্মী আপনাকে গোপনে ভালবাসেন না কি!
• প্রশংসায় পঞ্চমুখ:
এমন কেউ কি আছেন আপনার অফিসে, যিনি সব ব্যাপারেই প্রকাশ্যে আপনার প্রশংসা করে থাকেন? আপনার পোশাক, সুগন্ধি, জুতো বা অন্য কোনও অ্যাকসেসরিজ- সব কিছুরই অকুণ্ঠে তারিফ করেন তিনি? তারিফ করেন আপনার কাজেরও? মাঝে-সাঝে পিঠ চাপড়ে সেটা জানিয়েও থাকেন?
নিশ্চিন্ত থাকুন, তাহলে তিনি আপনাকে রীতিমতো পছন্দ করেন। ভালও বাসেন! নেহাত অফিস বলেই নানা রকম দ্বিধা থেকে বলে উঠতে পারছেন না।
• ঘুরে আসি:
কোনও সহকর্মী যদি ছুটির পরে কোথাও যাওয়ার প্রস্তাব দেন, তার মানে আপনাকে নিয়ে তাঁর মনে কিছু একটা রয়েছে। তা সে যাওয়ার জায়গাটা হোক না কফিশপের মতো নিরীহ একটা জায়গা! আসলে তো তিনি আপনার সঙ্গে একটু আলাদা করে সময় কাটাতে চাইছেন। আপনাকে ভাল না বাসলে এরকম চাহিদা তাঁর মনে তৈরি হবে কেন?
• হাসি তো ফাসি:
আপনি অফিসে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই কার চোখ-মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে? বেশ ঝকঝকে এক গাল হাসি নিয়ে কি তিনি আপনাকে স্বাগত জানান? বা, আপনি অফিসে ঢোকার পরেই কি তিনি হাসিমুখে এসে হানা দেন আপনার সিটের কাছে? নিশ্চিত থাকুন, এটাও ভালবাসার বহির্প্রকাশ ছাড়া আর কিছুই নয়। আপনার সঙ্গে কথা না বললে যে তাঁর দিন ভাল যাবে না! সেই জন্যই আপনি অফিস ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি কথা বলতে আসেন। আপনাকে ভালবাসেন বলেই ওই ঝকঝকে হাসিটাও দেখা মাত্রই আসে!
• অক্ষরে অক্ষরে:
কেজো ই-মেল বা অন্য কোনও মাধ্যমে টেক্স্ট-এর সূত্র ধরেই সাধারণত অফিস প্রেম এগোতে থাকে পরিণতির দিকে। তাই একটু খুঁটিয়ে ভাবুন তো, কাজের মাঝে কেউ আপনাকে অনলাইন দেখেই কিছু বলছেন কি না! খুব সাধারণ কথা হলেও ভাবুন! কেন না, এখানে কথাটা নয়, কথা বলাটাই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া অফিসের বাইরেও যদি মেসেজ পেতে থাকেন, তবে আর দ্বিতীয় বার ভাববেন না। যিনি পাঠাচ্ছেন, তিনি আপনাকে ভালবাসেনই!
• দ্বিধা থরথর চূড়ে:
আচ্ছা, আপনি সামনে থাকলে অফিসের কেউ কি খুব নার্ভাস হয়ে থাকেন? তার কারণ একটাই! তিনি আপনার সামনে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত করতে চাইছেন। কিন্তু, আপনাকে খুব পছন্দ করেন এবং প্রত্যাখ্যানের ভয় আছে বলে তিনি গুটিয়ে রয়েছেন। এ দিকে নিজের অনুভূতিটাকেও সংযত করতে পারছেন না। ফলে, তাঁর নার্ভাসনেস দিন দিন বাড়ছে।
• দুঃসহ ঈর্ষা:
সহকর্মীদের মধ্যে একটা ঈর্ষা থাকেই! বাড়াবাড়ি না হলে সেটা বরং একটা ভাল লক্ষণ। কেন না, তাতে প্রত্যেক দিন অন্যকে এবং নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়ার একটা জেহাদ তৈরি হয়। তাতে আখেরে অফিস এবং আপনি- লাভ হয় দুই পক্ষেরই!
কিন্তু, আপনি কারও প্রশংসা করলে কোনও সহকর্মী যদি ঈর্ষাণ্বিত হয়ে পড়েন, তাহলে দুবার ভাবুন! আপনি আপনার খুব কাছের কারও প্রশংসা করছেন, তাতে যদি কেউ ছটফট করেন, তাহলে সেটা ভালবাসা ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি আসলে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন, তাই ঈর্ষাণ্বিত হয়ে পড়ছেন।
কী মনে হয়? কেউ আছেন না কি এরকম আপনার অফিসে, যাঁর মধ্যে এই ছয়টি লক্ষণের কোনও না কোনওটা দেখা যাচ্ছে?
হলে, হয় সাবধান হয়ে যান, নইলে এগিয়ে যান!
আপনাদের জন্য শুভেচ্ছা রইল!
The post কী করে বুঝবেন সহকর্মী আপনাকে ভালবাসেন! appeared first on Sangbad Pratidin.